মোঃ সাফায়েত হোসেন মনোহরগঞ্জ,কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে গৃহবধূ সরস্বতী রানীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ঘাতক স্বামী রঞ্জিত চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করেছে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকাল অনুমান ৩ টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী সরস্বতী রানী (৩০) কে কুপিয়ে হত্যা করে রঞ্জিত চন্দ্র দাস। নিহত গৃহবধূ সরস্বতী রানী হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল গ্রামের উমেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে। হত্যাকান্ডের ১২ ঘন্টার মধ্যে ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষনপুর ইউনিয়নের লক্ষনপুর মালাকার বাড়ির ঝাল মুড়ি বিক্রেতা সুশীল চন্দ্র দাসের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র দাসের সঙ্গে হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল গ্রামের উমেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে সরস্বতী রানীর গত ১২ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ১০ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সন্তান হওয়ার পর থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। গত কয়েক মাস আগে সরস্বতী রানী ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে একাই বসবাস শুরু করেন। এ দিকে তার স্বামী রঞ্জিত দাস নিজ এলাকায় একটি সেলুন দোকানে কর্মরত আছেন। তাদের সন্তান দাদা-দাদীর সাথে থাকে। ঈদের ৪ দিন আগে স্বামী রঞ্জিত ঢাকায় গিয়ে স্ত্রী সরস্বতীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ীতে আসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বজনদের সাথে দুপুরের খাবার শেষে নিজ ঘরে যায় তারা। বিকাল ৩ টার দিকে সরস্বতী রানীর শোর চিৎকারে আশেপাশে থাকা স্বজনরা গিয়ে দেখেন সরস্বতী রানী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। এসময় তার স্বামী রঞ্জিত চন্দ্র দাস দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন স্থানীয় চিকিৎসককে ডেকে আনলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহতের বড় ভাই মিন্টু দাস বাদি হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার মধ্য রাতে মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিউল আলমের দিকনির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত তপন কুমার বাকচীর নেতৃত্বে এসআই মিজানুর রহমান ও এএসআই ইমদাদুল হকসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে উত্তর হাওলার বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে ঘাতক রঞ্জিত চন্দ্র দাসকে আটক করে।