উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ৮টি দোকান ও উপজেলা প্রেসক্লাবে তালা খুলে দেওয়া হলেও ইউনিয়ন পরিষদের রুমের তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়।
জন্ম নিবন্ধন, পরিচয় পত্র, চৌকিদারী ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা জন-সাধারণ তাদের সেবা না পেয়ে ফেরত যায়। বিষয়টি নিয়ে সর্ব মহলের ব্যাপক আলোচনা হয়। অবশেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বহ্নি শিখা আশা পরিষদের তালা ভেঙ্গে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করার চেয়ারম্যানকে নির্দেশন দেন। তিনদিন পর ৫ নং ইউপি চেয়ারম্যান, ৫ নং ইউপি সচিব ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের উপস্থিতে গ্রাম পুলিশ ঝুলিয়ে রাখা তালা ভেঙ্গে পরিষদের কার্যক্রম শুরু করেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৯৯২ইং সালে এই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়টি এখানে স্থাপিত হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কিন্ত ৩০ বছর পর হঠাৎ করে হরিপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দীন স্কুলের জমি দাবী করে, কিভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি আরো জানান, সরকারি খাস জমির উপর নির্মিত হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি। হরিপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দীনের দাবীর কোনো ভিত্তি নেই।
তালা লাগানোর বিষয়ে হরিপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদের সম্মূখে থাকা ৮টি দোকান ও উপজেলা প্রেসক্লাব হরিপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের জমিতে আছে। তাই আমি বেদখলে থাকা আটটি দোকান ও উপজেলা প্রেসক্লাবে তালা দিতে বলেছি তবে ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় নাই। কে বা কাহারা ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়েছে আমি বলতে পারবো না।
হরিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার বহ্নি শিখা আশা’র কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ৫ নং ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টি অবহিত করছিল পরে আমি ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেছি, তালা ভেঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরু করার জন্য ।