ভেবেই অবাক বিস্ময়ে আবিষ্কার করি প্রতি নিয়ত,
তোমার স্বপ্নের হাত ধরে হাঁটা শুরু করেছিলাম,
কি গভীর বিশ্বাসে! আমি আমার মতো এক মুহুর্ত ভাবতেই পারি নি সে-ই তুমি আজকের তুমি টা!
নিজেকে করুণা করবো নাকি ক্ষমা করবো-
ভেবে উঠতে পারছি না।
কখনো মনে হচ্ছে কতটা অসহায় আমি
আর আমার শুদ্ধ বিশ্বাস।
তোমার অশুদ্ধ প্রেম আর নষ্ট অনুভূতির আনুষ্ঠানিকতার পুরো কাব্যিকতাই
চরম নাটকীয় ছিলো।
কি এক অদ্ভুত মোহাচ্ছন্ন ঘোরে নিমজ্জিত
আমার হৃদয় অথচ মস্তিষ্ক বারবার জানান দিচ্ছিলো তোমার কপটীয় প্রতিচ্ছবি!
হায়রে বেহায়া মন কি আর জানতো!
নিজেকে সাজাতে গোছাতেই
এতসব আয়োজন ছিলো তোমার।
তোমার মনে পড়ে?
আমি সেদিন প্রশ্ন করেছিলাম তোমায়!
আরে সেদিন তোমার জন্মদিন ছিলো!
আমি নদী ভালবাসি তাই দূরের এক নদীর পাড়ে দু’জন।
শুধু ভালবাসাময় কথায় জড়িয়ে
তোমার চোখে চোখ পরতেই এক মুহূর্তে বুঝতে পারছিলাম তুমি অন্য কিছু খুঁজছো!
ঝাপসা চোখে মনে হচ্ছিলো
কেউ যেন গলা টিপে হত্যা করছিলো আমায়!
আমি সেদিন টু শব্দ করিনি।
খুব জোরে আকাশের দিকে তাকিয়ে
বুক ভরে নিঃশ্বাস নিচ্ছিলাম।
তারপর থেকেই ক্রমশ দূরত্ব আজ অবধি।
তোমার নীরব আপোষ আমাকে ইনসোমনিয়া উপহার দিলো,
তবুও আমি অপেক্ষমাণ!
সময়ের আবর্তনে একটু দেরি হলেও উত্তর জানা হলো, তুমি সিঁড়ি খুঁজছিলে সুখের-সমৃদ্ধির!
নিজেকেই ক্ষমা করতে পারছি না, এ পথে আমি যেতে চাইনি কোনদিন; নষ্ট আমি হয়তো কষ্ট পেতাম না!
তবে কেন স্বপ্নের হাতছানি তে জড়ালে?
তোমার স্বপ্নের হাত ধরেই হেঁটেছিলাম কখনো ;
ভাবতেই শিউরে উঠছি!!!
লেখিকাঃ রিমি কবিতা