আই কে মুন ,যশোরঃ হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় যশোরে রেনু পোনার বাজার প্রভাব পড়েছে। যার জন্য বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখছেন হ্যাচারি মালিক ও মাছ ব্যবসায়ীরা। একদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ চালিত পাম্প দিয়ে মাছের পোনা ও রেনু উৎপাদন অন্যদিকে পরিবহনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের জন্যেও খরচ হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ। মৎস্য চাষী ও ব্যবসায়ীরা জানান যশোর শহরতলীর চাঁচড়া মৎস পোনা বাজার থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক ও পিকআপে চলে যায় দেশের প্রায় ২১ জেলায়। চৈত্র থেকে আসাড় পর্যন্ত অনাবৃষ্টির কারণে এবার রেনু বাজার তেমন জমে ওঠেনি। চলতি মাসে কিছুদিন বৃষ্টি হওয়ায় কিছু সময় বেচা কেনা শুরু হলেও
জ্বলানি তেলের দাম বাড়ার কারণে চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সকালে চাঁচড়া বাজারে গিয়ে দেখা যায় এমন করুন অবস্হা।রাস্তার ধারে রেণুকণা বিক্রেতারা সারি সারি বসে থাকলেও নেই কোনো ক্রেতা। কথা হয় মৎস্য ব্যবসায়ীদের অনেকের সাথে। তারা বলেন আমাদের ২০,২৫বছর ব্যবসা জীবনে এমন সংকট কখনো দেখিনি। এমনিতেই করোনাকালিন আমরা গত প্রায় ২বছর চরম সংকটে ছিলাম এর পর ভরা মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় উৎপাদন ও বেচা কেনা ছিল খুবই খরাপ। এমাসে কিছুদিন যাবৎ বৃষ্টি হওয়ার কারণে আমরা যখন আশার মুখ দেখলাম ঠিক সেই মুহূর্তে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের কারণে আমরা পথে বসতে শুরু করেছি। এ অবস্হায় ডিজেল চালিত স্যালো মেশিন দিয়ে পানি উত্তোলন করে মাছের হাপায় পানি দিয়ে নিরাপদে রাখতে উৎপাদন খরচ যেমন বেড়ে গেছে তেমনি সারাদেশে সরবরাহের জন্যে পরিবহন খরচও বেড়ে প্রায় দ্বিগুন।
জেলা মৎস চাষী ও হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান বলেন দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে যশোরের মাছ চাষিরা বিষেষ ভূমিকা রেখে আসছেন।মাছ চাষ কৃষির সাথে অঙ্গাংগীভাবে জড়িত থাকলেও আমরা অকারণে শিল্পরেটে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে আসছি। এর পরও বিদ্যুতের চরম লোডশেডিংয়ে আমরা বিপর্যস্ত। এব বর্তমানে জ্বালনি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মৎ চাষী ও ব্যবসায়ীরা পথে বসতে শুরু করেছে। তাই সরকরা যদি মৎস চাষীদের সাহায্যে এগিয়ে না আসে তবে যশোরের মৎস চাষীর সংখ্যা কমে যেয়ে চরম ঝুকিতে পড়বে।