বিদেশ পাঠানোর নাম করে নাজমুল তালুকদার (২৫) ও নাঈম তালুকদার (২৪) ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের চর সুহরী গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কালাম প্যাদার ছেলে মো. কামরুলের সাথে। প্রতারকের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী।
পার্শ্ববর্তী উপজেলা আমতলীর আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নাজমুল তালুকদার (২৫) ও নাঈম তালুকদার (২৪) নামে দুই ভাই প্রায়ই বিদেশে পাঠানোর কথা বলে লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা পালিয়ে আবার অন্য জায়গায় গিয়ে একই ধরণের প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে। ভুক্তভোগীরা তাদেরকে হন্য হয়ে খুঁজেও পাচ্ছেন না। ভুক্তভোগী মো. কামরুলের মা মোসা. পারুল বেগম (৪৪) জানান, নাজমুল তালুকদার ও নাঈম তালুকদার আমাদের পাশের ইউনিয়নের হওয়ায় তাদের সাথে আমাদের পূর্ব থেকেই পরিচিত। তারা ভালো মানুষ সেজে আমার ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে ৬ লাখ টাকার চুক্তি করে। প্রথমে আমার কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয় এবং পরে ভিসা লাগানোর জন্য এজেন্টকে দেওয়ার কথা বলে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তুু বছর পেরিয়ে গেলেও আমার ছেলেকে তারা বিদেশে নেয়নি বরং আমার ছেলেকে পাসপোর্ট ও ভিসা কোনোটাই দেয়নি। ফোন দিলেও রিসিভ করে না, রিসিভ করলেও বিভিন্ন অযুহাত দেখায়। মাঝে মাঝে আমাকে মুঠোফোনে খারাপ ভাষায় গালমন্দ করে। গত ৬ আগস্ট শনিবার নাজমুল তালুকদার ও নাঈম তালুকদার আমাদের এলাকায় আসলে ভুক্তভোগী তাদের কাছে টাকা ফেরৎ চাহিলে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাকে গালমন্দ করে এবং আমাদেরকে টাকা ফেরৎ দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। বেশি বাড়াবাড়ি করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সরল বিশ্বাসে তাদেরকে টাকা দিয়েছি। যাতে আমার (পারুল বেগম) ছেলে বিদেশ গিয়ে কিছু একটা করতে পারে। সে সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। তা হলে আমার টাকা ফেরৎ পাব না। আমি এর বিচার চাই। যাতে আর কেউ তাদের ফাঁদে পড়ে প্রতারণার স্বীকার না হন। এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নাসিরউদ্দিন হাওলাদার জানান, কামাল প্যাদা একজন জেলে। অসহায় গরিব মানুষ। মানুষের কাছ থেকে এবং এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে অনেক কষ্টে টাকা জোগাড় করে ছেলেকে বিদেশ পাঠানো জন্য নাজমুল তালুকদার ও নাঈম তালুকদারকে টাকা দিয়েছে। কিন্তুু তারা এভাবে প্রতারণা করবে তারা বুঝতে পারে নি। এখন তারা ঋণের বোঝা নিয়ে কষ্টে দিন যাপন করছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নাজমুল তালুকদার ও নাঈম তালুকদারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, এ বিষয় কামরুলের মা মোসা. পারুল বেগম বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ইশরাত মাসুদ
গলাচিপা,পটুয়াখালী।
০১৭২২৪৮৪২০০।