বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:০৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
এম ইয়াসিন ইকবাল রাজ কে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক করায় অভিনন্দন বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেবহাটায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সভা চৌগাছায় দূর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে কৃষকের ২ গাভীর মৃত্যু, ৪ টি গাভী আহত কেরানীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়ন এর মধুসিটি-২ এবং ভাওয়াল গার্ডেন তৎসংলগ্ন এলাকায় নির্মাণাধীন অবৈধ ভবনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কেরানীগঞ্জের মধুসিটি-২ এবং ভাওয়াল গার্ডেন তৎসংলগ্ন এলাকায় অবৈধ ভবনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা খাগড়াছড়িতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অংশীজনের সাথে মত বিনিময় সভা সিআরসি, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে “নতুন পোশাক” বিতরণ  কালিগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে ‌‌‌‌আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা দিবসে চীনের প্রেসিডেন্ট ও রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

গোপালপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পতাকাদন্ড আম পাড়ার কোটা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২, ৯.৫০ এএম
  • ৮৬ বার পঠিত

 

মোঃ মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ খান।।

জাতীয় পতাকা সব নাগরিকের জন্য আবেগের বিষয়। বিশেষ করে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস, জাতীয় শোক দিবস অথবা অন্য যেকোন দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও এর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের বিধিবদ্ধ নিয়ম রয়েছে।
জাতীয় পতাকা ইনডোর এবং আউটডোরে দুভাবেই উত্তোলনের নিয়ম রয়েছে। এমনকি পতাকা দন্ড কেমন হবে তারও বিধিবদ্ধ নিয়ম রয়েছে। ভূমি থেকে দন্ডের উপরের প্রথম অংশকে বলা হয় নিষিদ্ধ অঞ্চল। এ অংশে জাতীয় পতাকা নামানো নিষেধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ। নিষিদ্ধ অঞ্চলের উপরের অংশের নাম অপেক্ষা। এ অংশে পতাকা উত্তোলনের রশির দুই প্রান্তের সাথে পতাকার দুই প্রান্তের ফিতা পাল গেরো দিয়ে বেঁধে দেয়া হয়। এ অংশেই রশির বর্ধিত অংশ দিয়ে জাতীয় পতাকা দন্ডের সাথে বড়শী গেরো দিয়ে রাখা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের অপেক্ষায় পতাকা এখানে প্রস্তুত রাখা হয়। অপেক্ষা অংশের উপরের অংশের নাম জাতীয় সঙ্গীতাঞ্চল। এ অংশে পতাকা টেনে তোলার পর জাতীয় সঙ্গীত শুরু করতে হয়। জাতীয় সঙ্গীতাঞ্চলের উপরে দন্ডের অংশের নাম কৃতজ্ঞতা। এখানে পতাকা পৌঁছানোর সাথে সাথে বুক টান করে মুখোমন্ডল ভূমির সাথে ১৩৮ কোণে পতাকার দিকে তাকানো এবং দেশ মাতৃকার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে হয়। দন্ডের কৃতজ্ঞতা অংশের পরের নাম শোক অঞ্চল। জাতীয় শোক দিবসসহ বিভিন্ন দিবসে পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ মোতাবেক পতাকা সম্পূর্ন উত্তোলন করে দন্ডের সাথে এই অংশ নামিয়ে বেঁধে রাখা হয়। দন্ডের শোক অংশের উপরের নাম সম্মান। এ অংশে পতাকা উত্তোলনের পর পতাকাকে সম্মান প্রদর্শন করতে হয়। দন্ডের সম্মান অংশের উপরের নাম শোভা। শোভা ও সম্মান অংশের সংযোগস্থলে একটি পুলি থাকে। পুলির মধ্য দিয়ে রশি টেনে পতাকা উত্তোলন ও নামানো হয়। পতাকা উত্তোলনের পর রশি দন্ডের সাথে বড়শি গেরো দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।

আজ ১৫ আগস্ট ছিল জাতীয় শোক দিবস। এ দিবস পালনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণে সরকারি বিধিবদ্ধ নিয়ম পালন করেনি ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুত সমিতির গোপালপুর জোনাল অফিস। ওই অফিস গাছ থেকে আম পাড়ার একটি কোটার উপর নিয়মবহির্ভূতভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। এ বাঁশ দন্ডের শোভা অংশে আম পাড়ার কোটার শীর্ষে আটকি আটকে রয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীরা এ লম্বা বাঁশ দন্ড দিয়ে গাছের আম পাড়ার কাজ করে। কখনোসখনো এ বাঁশ দন্ড দিয়ে বিদ্যুৎ লাইনের গাছপালা পরিস্কারের সময় কোটা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। পবিস কর্মীরা এ কোটার আগায় জাতীয় পতাকা দায়সারাভাবে আটকে দিয়ে শোক দিবসের দায়িত্ব পালন করেছেন। এরা জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং দিবসটির প্রতি যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শনের ক্ষেত্রে অবহেলা করেছেন।

জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ বার্ষিকী উদযাপন যথাযথভাবে পালন করার জন্য গত ৩ আগষ্ট উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক।

সভায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। এতে আহবায়ক ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাসতুরা আমীনা। সদস্য সচিব হলেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সোহেল, ছাত্রলীগে আহবায়ক শফিকুল ইসলাম শফিক, যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর কবীর রানা ও ইকবাল হোসাইন।

কমিটির দায়িত্ব ছিল জাতীয় পতাকা সঠিকভাবে উত্তোলন করা হয়েছে কিনা তা মাঠে সরেজমিন তদারকী করে দেখা। কিন্তু কমিটির সদস্যরা কেউই মাঠে খোঁজ খবর নেয়নি বলে খবর পাওয়া গেছে।

পৌরবাসীরা জানান, প্রশাসন ছাড়াও সরকারি দলের অঙ্গসংগঠনের পাঁচ নেতা এ কমিটির সদস্য থাকলেও কোন নেতাই পতাকা উত্তোলনের খোঁজখবর নেননি।

এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সোহেল জানান, শোক দিবসের অনুষ্ঠান নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম। তাই কমিটির সদস্য হলেও কোন খোঁজখবর নিতে পারেননি।

পল্লী বিদ্যুতের গোপালপুর জোনালের ডিজিএম মাজহারুল ইসলাম জানান, অফিসে পতাকা উত্তোলন করেছেন এনফোর্সমেন্ট কোঅর্ডিনেটর শহীদুল ইসলাম। হয়তো তিনি ভুল করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক জানান, বিষয়টি তিনি খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
      1
3031     
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com