রেজাউল ইসলাম,মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় একটি আলোচিত মামলার আসামী উপজেলার ৪নং দাউদখালী ইউনিয়নের হারজী গ্রামের মৃত কাঞ্চন আলী হাওলাদারের পুত্র গফ্ফার হাওলাদার গত ২২ আগস্ট সোমবার বেলা ১১ ঘটিকায় উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে আসামী গফ্ফার হাওলাদার তার সাথে দুজন অপরিচিত লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন সমাজ কর্মী মোঃ হুমায়ুন কবির ও কারিগরি প্রশিক্ষক মোঃ শাহ আলমকে অফিসে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মামলার স্বাক্ষী হিসেবে কোন জবানবন্দী না দিতে উভয়কে একই সময় খুন জখমের হুমকি প্রদান করেন।
জিডিসুত্রে জানাগেছে, এ সময় উপজেলার সমাজসেবা অফিসে অফিস সহায়ক জাহিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন সমাজ কর্মী মমতাজ বেগম ও সাবেক ইউনিয়ন সমাজ কর্মী ফারুক মিয়া উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় ২৪ আগস্ট বুধবার ভূক্তভোগী মোঃ শাহ আলম ও মোঃ হুমায়ুন কবির গফ্ফারের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরী করেন। যার নং-১১৪০, ১১৪১। উল্লেখ্য গত ০৩/০৬/২০১৮ইং তারিখ মঠবাড়িয়া সমাজসেবা কার্যালয়ের তৎকালীন সমাজ সেবা অফিসার মোঃ আখলাকুর রহমান, হাজী গুলশান আরা এতিম খানার ভূয়া বিল অনুমোদন না করায় উক্ত এতিম খানার সভাপতি গফ্ফার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অফিস চলাকালীন অফিসে প্রবেশ করে আখলাকুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে মাথায় মারাত্মক জখম করে। যে ঘটনায় স্থানীয় জনগন ও অফিসের লোকজন তাকে ধৃত করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেন। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। যার নং- ০৬/১৮৪। বর্তমানে মামলাটি পিরোজপুর বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। উক্ত মামলার দুই নং স্বাক্ষী মোঃ শাহ আলম ও ৮ নং স্বাক্ষী মোঃ হুমায়ুন কবির। ওই মামলায় যথা সময় আদালতে হাজির হয়ে বিজ্ঞ বিচারকের সামনে গফ্ফারের বিরুদ্ধে তারা যাতে স্বাক্ষ্য প্রদান না করেন তার জন্য তাদের জীবন নাশের হুমকি প্রদান করেন।
উপজেলা সমাজসেবা
অফিসার শফিকুল আলম বলেন, আমি ওইদিন অফিসের কাজে মঠবাড়িয়ার বাহিরে ছিলাম। তবে বিষয়টি আমি শুনেছি এবং এ বিষয় আমার অফিস স্টাফ হুমায়ুন কবির ও শাহ আলম মঠবাড়িয়া থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মুহাঃ নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।