✍️নলতা হাইস্কুলের লেখক সাহিত্যিক✍️ পর্ব- ০৮
🟤 সিরাজুল ইসলাম (১৯৬০-)
নলতা হাইস্কুলের প্রখর মেধাবী ছাত্র সিরাজুল ইসলাম। পেশায় তিনি ছিলেন ব্যাংকার কিন্তু নেশায় এখনো সাহিত্যিক। তিনি একজন কবি ও গদ্যশিল্পী। সাতক্ষীরার আঞ্চলিক সাহিত্য ও গবেষণা পরিধি ছাড়িয়ে তার লেখালেখির ব্যাপ্তি এখন জাতীয় পর্যায়েও স্বীকৃত।
সিরাজুল ইসলামের জন্ম ১৯৬০ সালে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলাধীন পারুলিয়ায়। নলতা হাইস্কুলের কৃতি শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। ১৯৭৩ সালে নলতা হাইস্কুল থেকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিলাভ করেন। ১৯৭৬ সালে এই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন এবং যশোর শিক্ষা বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হন।
পরবর্তীতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তিনি এম এ পাশ করে ব্যাংকে যোগ দেন। চাকুরির পাশাপাশি সাহিত্যচর্চায় তিনি ছিলেন সদাজাগ্রত সাধক। ১৯৮৮ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত উদীয়মান সাহিত্যিকদের দেশব্যাপী সাহিত্য প্রতিযোগিতায় কবিতা ও গল্প উভয় বিষয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে শীর্ষস্থান অধিকার করে পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ১৯৮৬, ১৯৮৭, ১৯৮৯ ও ১৯৯২ সালে কবিতা ও গল্পে জেলা পর্যায়ে শীর্ষস্থান অধিকার করে একই মন্ত্রণালয় থেকে পুরস্কার পান।
সিরাজুল ইসলামের লেখালেখি শুরু হয় ছাত্রজীবনেই। একসময় তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি-র গবেষণা সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন। তাঁর গবেষণামূলক রচনা জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট পত্রিকা, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ‘শিল্পকলা’, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট পত্রিকা ‘মাতৃভাষা’ ছাড়াও বাংলাদেশের অনেক প্রতিনিধিত্বশীল পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৯৩ তে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র বাংলাদেশ আয়োজিত বাংলা চতুর্দশ শতাব্দী পূর্তিতে প্রবন্ধ রচনায় জাতীয় পর্যায়ে শীর্ষস্থান অধিকার করেন এবং পুরস্কৃত হন।
– তার প্রকাশিত গ্রন্থাবলীর মধ্যে অন্যতম-
– আবছা আপেক্ষিক
– দুজনে
– দৌড় ও দোলা
– বামাবর্ত ও অন্যান্য গল্প
– লকডাউনের ইশতেহার
– খা খা রে বকিখলারে
এছাড়া তার সম্পাদিত পত্রিকার মধ্যে -বিপরীত, উচ্চারণ, নৈর্ঋত, স্রোত, নবনূর ইত্যাদি অন্যতম।
তথ্যসূত্রঃ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লাঃ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রভাষক মনিরুল ইসলাম প্রিজম।