পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপার উলানিয়া হাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো.মাহফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতি ,অনিয়ম , গোপনে কমিটি গঠন ও অর্থ আত্মসাৎ সহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এমনকি চার জন ল্যাব এসিস্ট্যান্ড নিয়োগ বানিজ্য করেছেন বলে একটি নির্ভর যোগ্য সূত্র জানিয়েছেন। তার ভয়ে অধিকাংশ শিক্ষক মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এতে অধিকাংশ শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অধ্যক্ষের অনিয়ময়ের কারনে ইতিমধ্যে ৬জন অভিভাবক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা, মহাপরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে উলানিয়া হাট স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবক ও সমাজ সেবক মো.জসিম উদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে গত ২৮ আগস্ট ২০২২ অধ্যক্ষ মো.মাহফিজুর রহমানসহ ১০ জন আসামী করে বুধবার পটুয়াখালী সহকারি জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৪৩৬/২০২২।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া হাট স্কুল এন্ড কলেজটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে দেড় হাজারের উপর ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে আর শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছে ৩৬জন। শিক্ষক ও অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ মো.মাহফিজুর রহমান নিয়োগের পর থেকে সুচতুর ও সুকৌশলী। তিনি পরিচালনা কমিটির নির্বাচনের ক্ষেত্রে সকল সময় ছলছাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন।
জানা যায়, এক পর্যায় কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে অ্যাডহক কমিটি গঠন করে। আবার অ্যাডহক কমিটির মেয়াদের মধ্যে অধ্যক্ষ মাহফিজুর রহমান গোপনে কোন বিধি বিধানের তোয়াক্কা না করে নির্বাচন ছাড়াই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন। যা এলাকাবাসী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের কোন কিছুই জানানো হয়নি। এমনকি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও জমিদাতা সদস্যদের কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। নতুন কমিটি প্রকাশ পেলে এটিকে অধ্যক্ষ ধামাচাপা দেয়ার জন্য নতুন কমিটির জন্য তিনি অভিভাবক ভোটার তালিকা প্রস্তুুত করে জুলাই মাসের শেষের দিকে তার একান্ত অফিস সহকারীর মাধ্যমে অভিভাবক প্রতিনিধি নিবার্চনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিলে মনোয়ন পত্র কেনা ও জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল ২০২২সালের ২৮জুলাই। এ সময় মনোয়ন পত্র ক্রয় ও জমা নেয়া হয়। জানালেন অভিভাবক মো.জসিম উদ্দিন হাওলাদার, মো.শফিকুল ইসলাম, মো.মিলন, মো.বাচ্চু শাহ, হাবিব শরীফ ও মনিরুল ইসলাম। তারা আরও জানান, ইসতেহার, ভোটার তালিকা, মনোয়ন পত্র ফরমের টাকা জমা দেয়ার রশিদ ও প্রাপ্তি স্বীকার পত্র চাইলে অধ্যক্ষ মো.মাহফিজুর রহমান তাদের পরে দিবে বলে প্রতারণার আশ্রয় নেন। একটি নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীর বেতন ভাতার অনুকূলে গলাচিপা সোনালী ব্যাংকে অঙ্গীকার নামায় কমিটির স্বাক্ষর সম্বলিত স্ট্যাম্প জমা দেয়া হয়েছে। এতে অভিভাবক ও শিক্ষকরা বুঝতে পারে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেছে অধ্যক্ষ মো.মাজফিজুর রহমান। তিনি প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দ্যেশে পকেট কমিটি গঠন করেছেন। যা সঠিক তদন্ত করলে সত্য বেরিয়ে আসবে।
এব্যাপারে অধ্যক্ষ মো.মাহফিজুর রহমান জানান, তিনি কোন কিছুই অবহিত নয়, বিষয়টি যেনে পরে জানাবেন বলে জানান।
ইশরাত মাসুদ
গলাচিপা, পটুয়াখালী্।
০১৭২২৪৮৪২০০।