✍️নলতা হাইস্কুলের লেখক সাহিত্যিক✍️ পর্ব- ১০
🟤 আহসান কবীর জামান (১৯৬৯-)
আহসান কবীর – খুব বেশি পরিচিত নাম নয়, কিন্তু তিনি নলতা হাইস্কুলের সবচেয়ে পরিচিতজনের উত্তরসূরি। নলতা হাইস্কুলের কিংবদন্তি প্রধান শিক্ষক দরবেশ আলী স্যারের সন্তান তিনি।
আহসান কবীর ১৯৬৯ সালের ৬ নভেম্বর নলতায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮০ সালে তিনি নলতা হাইস্কুলে ভর্তি হন। পরবর্তীতে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ হয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় যান। জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে ইনফরমেশন টেকনোলোজি এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্টে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি এখন ভার্জিনিয়াতে স্থায়ী এবং পেশায় কম্পিউটার সফটওয়ার প্রোগ্রামার।
তার লেখালেখির হাতেখড়ি স্কুল জীবনেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জনকণ্ঠ ও সে সময়কার খুব জনপ্রিয় বিচিত্রায় লিখতেন। নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের জাতীয় পত্রিকায় তার সরব উপস্থিতি ছিল। তার লেখালেখির আদ্যোপান্ত সবই কবিতার ছন্দ। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। এখন প্রথম আলোর ‘উত্তরের সাহিত্য’ পাতায় নিয়মিতই প্রকাশিত হয় তার কবিতা- লেখালেখি। তিনি আমেরিকায় বাংলা ভাষার একজন সাহিত্যকর্মী হিসেবেই পরিচিত।
আহসান কবীর জামান একজন আত্মমুখী কবি। দীর্ঘদিনের কবিতা চর্চা থাকলেও তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ মাত্র দু’টি। এর বাইরে তার অসংখ্য অগ্রন্থিত কবিতা, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ রয়েছে।
তার কাব্যগ্রন্থদ্বয়
◾ শীর্ণ নদী ও পূর্ণিমার চাঁদ
◾উড়ে যাই শঙ্খদেশে
তথ্যসূত্রঃ খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রভাষক মনিরুল ইসলাম প্রিজম।