সবচেয়ে ভারী সেই কথাহীন মুহূর্তগুলো –
সবচেয়ে ভারী সেই দৃশ্যহীন দৃশ্যগুলো-
ঠোট থেকে ফিরে যাওয়া সমস্ত কথা
হৃদয়ে চেপে রাখা সমস্ত স্মৃতি
দুপ করে নিভে যাওয়া প্রতিশ্রুতির সমস্ত আলো
শুকিয়ে যাওয়া চোখের শিশির
ফুরিয়ে যাওয়া রাত্রির নিভৃত বিলাপ
হারিয়ে যাওয়া নক্ষত্রের দল
দোলনচাঁপার হাসি
▪️
এখনো বিভোর হয়ে ভোর আসে
ভোরের বাতাসে ভেসে আসে চেনা আতরের গন্ধ
ভেসে আসে অন্তরঙ্গ সুর।
তুমি কী আবার ডাকছো আমায়?
আমি কী ভুল শুনেছি?
আমি হই হই করে উঠে দেখি কেউ নেই-
কোথাও কেউ নেই-
দিগন্ত অবধি তাকিয়ে থাকি- কেউ নেই
কারো গন্ধ নেই-
কারো অন্তরঙ্গ সুর নেই।
▪️
হৃদয়ে ঘাই মারে শেষ বিকেলের স্মৃতি
আমরা হাঁটতে হাঁটতে উঠে যেতাম পাহাড়ের চূড়ায়
আমাদের গল্পগুলো মিশে যেতো ধুপের ধোঁয়ায়
তারপর মিনার বেয়ে নেমে আসতো সন্ধ্যা
আমরা হাঁটতে হাঁটতে নেমে আসতাম আবার-
এভাবে রাত্রি হয়ে ভোর-
বিভোর হয়ে এখনো ভোর আসে
তুমি কেবল আসো না।
রাত্রি বেয়ে এখনো জ্যোৎস্না আসে
তুমি কেবল আসো না।
মেঘ বেয়ে এখনো বর্ষা আসে
তুমি কেবল আসো না।
এখনো শিশির বেয়ে হেমন্ত আসে
তুমি কেবল আসো না।
▪️
মিনতিটুকু রেখো, ওহে স্মৃতির চাদর
ভোরের বাতাসে ভেসে তুমি একবার এসো
একদিন না হয় এসো-
একবেলা না হয় এসো-
এক মুহূর্ত না হয় এসো-
তোমার পায়ে পেতে দেবো চালতের সাদা ফুল
মেখে দেবো চোখের শিশির
জড়িয়ে দেবো বাগানবিলাসের বুক।
তুমি এসো-
সবচেয়ে ভারী সেই কথাহীন মুহূর্তগুলো
সবচেয়ে ভারী সেই দৃশ্যহীন দৃশ্যগুলো
এসব অভিমান ফুরিয়ে দিয়ে
তুমি এসো।
যদি চাও সবার আসা থামিয়ে দিয়ে,
তবুও তুমি এসো।
লেখকঃ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রভাষক মনিরুল ইসলাম প্রিজম