বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের
আমি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম “চ্যালেঞ্জ কোচিং সেন্টার”। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্ররা আমার কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ছিলেন । কোচিং সেন্টারটি কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহে খুব সুনাম অর্জন করেছিল । এই কোচিং সেন্টারের ছাত্র ছাত্রীদের অনেকেই এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত আছেন । সেই কোচিং সেন্টারের আয় থেকে আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সন্নিকটে শেখ পাড়া বাজারে একখণ্ড জমি ক্রয় করেছিলাম । এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- রেজিস্টার অকাল প্রয়াত হারুন । আমার স্বপ্ন ছিল সেখানে ‘বঙ্গবন্ধু পল্লী’ প্রতিষ্ঠা করার । আমি জমিটি জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে রেজিস্ট্রি করার জন্য নেত্রীর অনুমতি নিতে গেলে তিনি সেদিন অবাক হয়ে জানতে চেয়েছিলেন জমি ক্রয়ের টাকা কোথায় পেলাম । আমি তখন কোচিং সেন্টারের আয়ের জমানো টাকার কথা বললাম । ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে বঙ্গবন্ধু ভবনে তখন মরহুম জিল্লুর রহমান (সাবেক রাষ্ট্রপতি), মরহুম আব্দুর রাজ্জাক (সাবেক মন্ত্রী), ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীণ সভাপতি এ কে এম এনামুল হক শামীম উপস্থিত ছিলেন । বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেদিন হাসতে হাসতে বলেছিলেন আমার কাছে তো সবাই চাইতে আসে, তুমি আমাকে দিতে এসেছো ? নেত্রী সেদিন আরো বলেছিলেন ‘আমিইবা কয়দিন বাঁচবো’ । জমিটি তিনি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে দলিল করতে পরামর্শ দিয়ে ছিলেন । নেত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী জমিটি সেদিন বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের নামেই দলিল করা হয়েছিল । অনেক দিন পর পুরনো ফাইলের মধ্যে সেই দলিলটি খুঁজে পেলাম । ছাত্র রাজনীতি নিয়ে অনেক নেতিবাচক আলোচনা হয় । কিন্তু ছাত্র রাজনীতির অনেক গৌরবোজ্জল ইতিহাস রয়েছে । ছাত্রলীগ কর্মীদের টিউশনির টাকা জমিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে জমি ক্রয় কি অনন্য দৃষ্টান্ত নয় ? সেদিন যারা চ্যালেঞ্জ কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত ছিলো তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা ।
লেখকঃ অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।