মাজহারুল রাসেল : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মাদক চালান দেখে ফেলায় ১৬ বছরের এক কিশোরকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে ০৩ পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রাতে চাঁদপুর জেলার সদর থানাধীন রঘুনাথপুর ভাঙ্গাপর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ রনি (২০), ২। আল আমিন (২৫) উভয় পিতা- মোঃ মোস্তফা, ৩। মোঃ মোস্তফা (৫৫), পিতা- মৃত আব্দুল মান্নান, সর্ব সাং- রঘুনাথপুর ভাঙ্গাপুর, থানা- চাঁদপুর সদর, জেলা- চাঁদপুর।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ২৪ আগস্ট ২০২২ তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন পিরোজপুর এলাকায় ১৬ বছরের কিশোর মোঃ তুহিনকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোঃ মনির (৩৯) বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৩৯, তারিখ-২৮/০৮/২০২২। মাদকের চালান দেখে ফেলায় পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে তার ছেলে ভিকটিম মোঃ তুহিনকে হত্যা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। উক্ত ঘটনাটি জাতীয় স্থানীয় ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, যা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহসহ নৃশংস এই হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১, ব্যাটালিয়ন সদর এর একটি গোয়েন্দা দল দ্বারা তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৯ সেপ্টেম্বর রাতে চাঁদপুর জেলার সদর থানাধীন রঘুনাথপুর ভাঙ্গাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৬ বছরের কিশোর তুহিন হত্যা মামলার আসামী তিনজনকে গ্রেফতার করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, নিহত তুহিন মিয়া চেঙ্গাকান্দি গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে। সে ঝাউচর এলাকায় তার মামা নুরুল হুদার কাছে থেকে তার আসবাবপত্রের দোকানে কাজ করত। একই এলাকায় পার্শ্ববর্তী হিরাঝিল হোটেলে গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ রনি এবং ২। আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল ও ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল। তারা গত ২২ আগস্ট ২০২২ তারিখে ফেনসিডিলের কার্টুন হোটেলের পাশের কক্ষে নিয়ে যাওয়ার সময় ভিকটিম তুহিন দেখে ফেলে এবং উক্ত ঘটনাটি পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবে বলে জানায়। বিষয়টি আসামীরা জানতে পারলে তারা ভিকটিম তুহিন (১৬) কে এলোপাথারী মারপিট করে এবং মাদকের বিষয়ে কাউকে কিছু বললে হত্যার হুমকি দেয় বলে বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে ২৩ আগস্ট ২০২২ তারিখে ভিকটিম রাতের খাবার খেয়ে প্রতিদিনের ন্যায় দোকানে ঘুমাতে যায় ও পরের দিন ২৪ আগস্ট ২০২২ তারিখে দোকান খোলার পর তুহিনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃতদেহ পাওয়ার পর হতেই আসামীগণ তাদের হোটেল বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।