যেসব বরেণ্য গীতিকবিগণ তাদের অসাধারণ অনবদ্য গান দিয়ে আমাদের সঙ্গীত ভূবনকে করেছেন ঋদ্ধ সমৃদ্ধ আলোকিত তাদের মধ্যে অন্যতম একটি নাম নজরুল ইসলাম বাবু। যতকাল এই দেশ মাটি মানুষ থাকবে ততদিন তাঁকে হারানো যাবেনা ভোলা যাবেনা। তিনি কাল থেকে কালান্তরের বাংলা ভাষা ভাষী মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় বসবাস করবেন সযত্নে।
বাবু আরও রচনা করেছেন ‘আমার মন কান্দে ও আমার প্রাণ কান্দে’, ‘ডাকে পাখি খোলো আঁখি’, `কাল সারা রাত ছিল স্বপ্নের রাত’, ‘নীল চাঁদোয়া’, ‘মনে হয় হাজার বছর দেখি না তোমায়’, ‘আমি বৃষ্টিতে ভেজা রজনীগন্ধ্যা’, ‘হায় রে স্মৃতি বড় জ্বালাময়’, ‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে’-এর মত কালজয়ী অমর গান।
তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে গীতিকার হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। এরপর একে একে লিখতে থাকেন দারুণ সব গান, যার মধ্যে ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’ এবং “একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার” অন্যতম। “সবকটা জানালা খোলে দাওনা” গানটি তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন এর খবর এবং বিভিন্ন সৃজনশীল অনুষ্ঠানের সূচনা সঙ্গীতে ব্যবহৃত হত।পরবর্তীতে এই গানটি পরিচালক
কাজী হায়াৎ ১৯৯২ সালে
সিপাহী ছবির টাইটেলেও ব্যবহার করেছিলেন।
এই গানটি ছাড়াও নজরুল ইসলাম বাবু’র লেখা দেশাত্মবোধক গানগুলোও আজও বিভিন্ন জাতীয় দিবসে গাওয়া হয়। কণ্ঠশিল্পী দিলরুবা খানের কণ্ঠে ‘দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা’ গানটিও নজরুল ইসলাম বাবুর লিখা। তিনি বাংলাদেশ গীতিকবি সংসদের প্রথম কার্যনির্বাহী পরিষদ (১৯৭৮-৭৯) এর সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন