আরিফুল ইসলাম আশাঃ
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রথম স্বামির কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে শারিরীক সম্পর্কে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বিয়ের পর অশিকার করার অভিযোগ উঠেছে কলারোয়ার জয়নগর এলাকার এক যুবককে বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম মোঃ হাবিবউল্লাহ (৩০) সে কলারোয়ার জয়নগর ইউনিয়নের গাজনা মোড়লপাড়া এলাকার মোঃ নজরুল ইসলামে ছেলে।
ভুক্তভোগী একুই এলাকার মোঃ সাহেব আলী সরদার এর মেয়ে জুলেখা খাতুন।
স্ত্রীর মর্যাদা দাবীকরে জুলেখা খাতুন বলেন, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও হাবিবুল্লাহ আমাকে বিভিন্ন ভাবে ফুসলাইয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দু’বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক করে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে এক বছর আগে হাবিবুল্লাহ আমাকে সাথে করে সাতক্ষীরায় নিয়ে পূর্বের স্বামীকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করে। এরপর থেকে হাবিবুল্লাহ আমাকে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিনিয়ত স্বামী স্ত্রীর মতো মেলামেশা করতে থাকে। আমাদের সম্পর্কের কথা হাবিবুল্লাহর মা নীলিমা খাতুন কে জানায়। তিনিও তার ছেলের সাথে আমার বিয়ে দিনেন বলে আশ্বস্ত করেন। এভাবে আমাদের সম্পর্ক এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর আমি ও আমার পরিবারের চাপাচাপিতে হাবিবুল্লাহ গত ২০ আগস্ট সাতক্ষীরায় কাজী অফিসে নিয়ে দেড় লক্ষ টাকা কাবিন করে আমাকে বিয়ে করে। বিয়ের পরেও হাবিবুল্লাহ আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়নি। সেই থেকে আমি বাবার বাড়িতে আছি। গত ৪ সেপ্টেম্বর সকালে স্ত্রীর দাবী নিয়ে হাবিবউল্লার বাড়ীতে গেলে হাবিবউল্লার মা নীলিমা খাতুন আমাকে তাদের বাড়ী থেকে বেরকরে দেয়। হাবিবউল্লাহ এখন আমাকে অস্বীকার করছে। স্থানীয় ভাবে মিমাংসা না-হওয়াই স্ত্রীর মর্যাদা পেতে কলারোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। বর্তমানে আমি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্ত্রীর মর্যাদা পেতে দারেদারে ঘুরছি।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নাছির উদ্দীন মৃধা জানান, এবিষয়ে ভুক্তভোগী নারী লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।———-