জাকির হোসেন আজাদী: সারাদেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলা মামলার প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। সংগঠনের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ” সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকদের ওপর বিভিন্ন জায়গায় যে হামলা-মামলা হচ্ছে এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। “
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ডিইউজের আয়োজনে এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ মাধ্যম নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র, সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে সোহেল হায়দার চৌধুরী আরও বলেন, ” বর্তমানে যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তাতে সাংবাদিকদের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। সামান্য বেতন দিয়ে দৈনন্দিন চলাফেরাসহ পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সংবাদকর্মীরা। আরও দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, সাংবাদিকদের ওপর বিভিন্ন জায়গায় যে হামলা-মামলা, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বর্তমানে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সবচেয়ে বড় স্বীকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। যদিও আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, কোনো সাংবাদিক এর স্বীকার হবেন না। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি।”
তথ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, আমরা তাঁকে অভিভাবক মানি। আমাদের সবকিছু দেখার দায়িত্ব তাঁর। তিনি একজন বিচক্ষণ সংগঠক। সুতরাং তথ্যমন্ত্রীর উচিত সাংবাদিকদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, ‘সাংবাদিকরা ভালো নেই। সাড়ে চার বছর পরও ওয়েজ বোর্ডের কোনো সুফল তারা পাচ্ছেন না। আগামীতে পত্রিকা, টেলিভিশনে যদি নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।”
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, সাংবাদিকদের জীবন এখন বিপন্নের দিকে যাচ্ছে। তাদের রুটি-রুজি সংগ্রহ করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। মালিকপক্ষ তাদের অন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানে পাওনা পরিশোধ করছেন, কিন্তু গণমাধ্যম ঠিক মতো চালাচ্ছেন না।
সমাবেশ থেকে সবাই নবম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী সাংবাদিকদের বেতন চালু করার জোর দাবি জানানো হয়। সমাবেশে ডিইউজে ও বিএফইউজের বিভিন্ন পদের নেতা এবং সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।