আরিফুল ইসলাম ।।
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে যৌতুক না দেওয়ায় চার মাসের অন্তঃসত্বা গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে নিহতের ভাই সাইফুল ইসলাম।
গত রবিবার (২ অক্টোবর) এ হত্যা কান্ডের পর ৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা নথিভুক্ত করেন আশাশুনি থানা পুলিশ।
হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামিরা হলেন, নিহত গৃহবধূর স্বামী আরিফুল ইসলাম সানা, ভাসুর সাইফুল ইসলাম সানা, শাশুড়ী সালমা বেগম, শশুর নুরমহম্মাদ সানা ও মামা শশুর কলিমাখালির আব্দু বারী গাজী।
এঘটনার পর নিহত গৃহবধূর শাশুড়ী সালমা বেগমকে পুলিশ আটক করলেও হত্যার মূল হোতা স্বামী আরিফুল ইসলাম সানাহস অন্যান্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গৃহবধুকে হত্যার পর বাড়ির বারান্দার গ্রিলে মরদেহ ঝুঁলিয়ে দিয়ে বাড়ির সবাই পালিয়েছেন। প্রথমে আত্নহত্যা বলে প্রচার দেয়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই বাড়ির সবাই পালিয়ে গেছে।
নিহত অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ভাই মামলার বাদী, মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, গত রবিবার (২ আগস্ট) ভোররাতে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ওইদিন বেলা ৪টার দিকে নিহতের শ্বাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
তিনি আরও জানান চার বছর আগে আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের নসিমাবাদ গ্রামের আরিফুল ইসলাম সানা সাথে আমার বোন আসমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ২-৩ লাখ টাকার আসবাবপত্র দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাবি জানিয়ে বোনকে মারপিট শুরু করে। এরপর সাতক্ষীরা আদালতে একটি নারী নির্যাতন মামলাও করেছিলাম আমরা। পরবর্তীতে আদালত থেকে মুচলেকা দিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে যায় আরিফুল। সবশেষ এসে মোটর সাইকেল দাবি করেছিল। আমরা অভাবী হওয়ায় দিতে দেরী হয়েছে। মোটর সাইকেল না দেওয়ার কারণে বোনকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে তারা। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, গৃহবধূ আসমা খাতুন হত্যার ঘটনায় ২ অক্টোবর মামলা হয়েছে। মামলা নং ১।
নিহতের মরদেহ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আসমা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী আরিফুল সানা, শ্বশুর নুর মোহাম্মদ সানা পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুড়িকে আটক করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে। —————-