মানষিক স্বাস্থ্য সচেতনতার উপর গুরুত্ব আরোপের পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তকে
মানষিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। বিশ্ব
মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার ৯ অক্টোবর রাত ৯ টায় ঢাকা
আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের অধীনে মনোযতœ আউটডোর কাউন্সিলিং
সেন্টারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে বক্তারা এসব এ কথা বলেন।
ওয়েবিনারে বক্তারা আরোও বলেন, আত্মহত্যা প্রবণতা প্রতিরোধকল্পে কিছু
গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং শিশু, তরুন, নারী এবং বয়োবৃদ্ধদের মানষিক
স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিতকল্পে মানষিক স্বাস্থ্যসেবাকে সাধারণ
স্বাস্থ্যসেবার সাথে সমন্বয় করে মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। এবং
কিভাবে মানষিক স্বাস্থ্যসেবাকে সার্বজনীন করে গ্রাম, উপশহর ও উপজেলা
ভিত্তিক করা যায় এ ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করতে হবে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সিনিয়র সাইকোলজিস্ট এবং মনোযতœ
আউটডোর কাউন্সিলিং সেক্টরের ফোকাল রাখী গাঙ্গুলীর সঞ্চলনা ও পরিচালনায় উক্ত
ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সিটিটিউট
এর পরিচালক অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, ইন্টারন্যাশনাল
ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি প্রোভাইস চ্যান্সেলর
সমাজ মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডঃ হামিদা আখতার বেগম এবং ক্লিনিক্যাল
সাইকোলজিষ্ট এবং বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহমুদুর
রহমান।
মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের এবারের মূল প্রতিপাদ্য হল “সবার জন্য মানসিক
স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং ভাল থাকাই হোক বৈশি^ক অগ্রাধিকার” আলোচকগণ
মূলপ্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর আলোচনার পাশাপাশি মানসিক চিকিৎসানা নেওয়ার পেছনে
স্টিগমার কথা উল্লেখ করেন, তার সাথে কোভিড-১৯ এর ফলে মানসিক স্বাস্থ্যে
একটি ব্যাপক বিপর্যায় দেখা দিয়েছে। এই বিপর্যয়ে বিভিন্নভাবে আক্রন্ত হয়েছে
শিশু, তরুণ, বয়োবৃদ্ধ এবং নারীরা। তার সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে অত্মহত্যা এবং
আত্মহত্যার প্রবণতা। আত্মহত্যা থেকে প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে তারা
সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং বিভিন্ন স্তরে মনোসামাজিক শিক্ষন এর উপর জোর
দেন। মানসিক স্বাস্থ্যজীবিদের দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন সেক্টরে
মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে ব্যাপকভাবে মনোবিজ্ঞানী নিয়োগের পরামর্শ
দেন।