আমরা জেনে নিলাম সোনাঝুরি ক্যাফের লোকেশন। ২/৬৪ এনএসসি বসু রোড। নিউমার্কেট এর পেছনে এসপ্ল্যানেড থেকে মেট্রোতে করে রওনা দিলাম। আমাদের গন্তব্য গীতাঞ্জলি স্টেশন। বন্ধু
অন্তরা রায় ও দীপক বন্দোপাধ্যায় সেখানে আগেই পৌঁছে গিয়েছেন। মেট্রোতে আমি ও উদ্যান লিটল ম্যাগাজিনের নির্বাহী সম্পাদক হাসানূর রহমান সুমন যাচ্ছি। অন্ধকার সুড়ঙ্গে দুর্বার গতিতে মেট্রো ছুটে চলেছে। অপেক্ষায় রয়েছেন দুজন। আমরা গীতাঞ্জলি স্টেশনে নামলাম।এবার দুইয়ে দুইয়ে চার। একটা কবিতার মিছিল এগিয়ে চলতে লাগলো সোনাঝুরি ক্যাফে অভিমুখে। সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য ও ইন্দ্রাণী দত্ত পান্না এবং রাইটার্স ওয়াল্ডের বন্ধুরা আগেই এসে গিয়েছেন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় দু দফায় কবিতা পাঠের আয়োজন করেছে রাইটার্স ওয়াল্ড।

আমরা পৌঁছানোর একটু পর নব্বই দশকের কবি তৃষ্ণা বসাক ও কবি ভজন দত্ত দাদা এলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব বন্ধু ইন্দ্রাণী দত্ত পান্নার কাঁধে। পরিচয় পর্ব শেষে গানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হলো। কোলকাতার বাহিরে থেকে আমার আমন্ত্রণে কবিতা পাঠ করতে এসেছিলেন ছোট ভাই ও কবি সৌরভ বর্ধন ও কবি
দীপান্বিতা বিশ্বাস। কানায় কানায় পূর্ণ এ কবিতা পাঠ আসর চলতে লাগলো পাশাপাশি দফায় দফায় ফিস ফিঙ্গার, চা, চটপটি, মিষ্টি, কেক আসতেই থাকলো। কবিতার মধ্যে সবাই নিমগ্ন কিন্তু নিরবে নিভৃতে রসনা বিলাস চলতে লাগলো। চমৎকার বিকেলটা কবিতাময় হয়ে গেলো স্বতস্ফুর্ত কবিতা পাঠে, গানে, অনুভূতি প্রকাশে। কবিতার জন্য একটা বিকেল আমরা নিজেদের মতো করে ভাগাভাগি করে নিলাম। কবিতার ঘোরের মধ্যে আমরা আকন্ঠ নিমজ্জিত হয়ে রইলাম। স্বাক্ষী রইলো নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস রোডের সোনাঝুরি ক্যাফে। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি নব্বই দশকের দুজন সহযাত্রী কবি সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য ও কবি ইন্দ্রাণী দত্ত পান্না কে এমন অসাধারণ আয়োজনের জন্য। আমরা সমবেত হই কবিতার জন্য, আমরা মেট্রোতে দাঁড়িয়ে থাকি কবিতার জন্য, আমরা ফিস ফিঙ্গার খেয়ে ফেলি কবিতার জন্য, আমরা চোখের আকুতি বিনিময় করি কবিতার জন্য। জয়তু বাংলা কবিতা।