মোতালেব বিশ্বাস, ইবি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দুই দিনব্যাপী শীতকালীন পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। সোমবার( ০৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শ্যাম সুন্দর সরকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর সংলগ্ন বটতলায় গ্রামীণ পরিবেশে পিঠা খাওয়ার অনুভূতি জাগাতে সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থীদের এই আয়োজন। এসময় উৎসবে প্রায় ৩৫ ধরনের পিঠা সরবরাহ করা হয়। এসব পিঠা শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তৈরি করেছেন।
সকাল থেকে পিঠা উৎসব উপলক্ষে ক্যাম্পাসের বটতলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে। কেউ সেলফি তুলছেন, আবার কেউ দেখতে এসেছেন। অনেকে ভিন্ন ভিন্ন পিঠার স্বাদ গ্রহণ করছেন। কেউ আগ্রহ নিয়ে দেখছেন হরেক রকমের বাহারি পিঠা। নানা ধরনের পিঠার মধ্যে ছিল সুইচ রোল পুলি, দুধে পুলি, ঝাল পুলি, পোয়া পিঠা, তাল বরা, সুজির রস বরা, চিতুই পিঠা, দুধে চীতুই, সুজির মালাই চাপ, ম্যারা পিঠা, নারকেলপুলি, দুধ চিতই, ভাপা পিঠা, ফুলঝুরি পিঠা, সেমাই পিঠা, কেক, গোলাপ পিঠা, ডালের পিঠা, পুডিং, দুধমালাই রিং, দুধ সন্দেশ, নারকেল চমচম, তেলের পিঠা, নারকেল পাকন, পাটিসাপটাসহ আরো অনেক ধরনের পিঠা। এছাড়াও পিঠা উৎসবে আয়োজন ছিলো বিভিন্ন ধরনের গ্রামীণ খেলা।
পিঠা উৎসবের আয়োজক সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ আহমেদ বলেন, ‘এটাই আমার বিভাগের প্রথম কোন অনুষ্ঠান। শীত যায় যায় অবস্থায় ক্যাম্পাসে একটা উৎসবের আয়োজন নিয়ে এসেছি আমরা। সমাজকল্যাণ বিভাগের চার ব্যাচ মিলে এই পিঠা উৎসব দাঁড় করানো হয়েছে। আমরা প্রতিটি পিঠার আলাদা আলাদা নাম দিয়েছি এবং আমরা প্রায় ৩০ এর অধিক পিঠার আয়োজন করেছি।’
সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী আহম্মেদ মারুফ বলেন, ‘ক্যাম্পাসে পিঠা উৎসব দেখে অনেক ভালো লাগছে। কয়েকটি পিঠা খেলাম। এখানে এসে গ্রামের পিঠা খাওয়ার স্মৃতি ফিরে পেলাম। ক্যাম্পাসে এমন ধরনের আয়োজন আমাদের লোক সাংস্কৃতিকে নতুন করে তুলে ধরার সুযোগ করে দেয়। তাই ক্যাম্পাসে এমন আয়োজন মাঝে মাঝে করা উচিত।’