ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইনটি সংশোধনের জন্য শুরু থেকেই সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সংশোধনের দাবি করে আসা হয়েছিল। বিগত ৮ বছর ধরে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকরা বিভিন্ন সময়ে বলে থাকছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা কোন সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না; কিন্তু অহরহ আইনটি দ্বারা সাংবাদিকরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মন্ত্রী এমপিদের এতসব আশ্বাসের পরেও কিন্তু সংশোধনের কোন উদ্যোগ নেই। সময় টেলিভিশনের বার্তা প্রধান ও রংপুর ব্যুরো প্রধান রতন সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি ব্যতিক্রম দাবি করে বলেন, কেননা টেলিভিশন চ্যানেলে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে কোন পক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হলে মানহানি মামলা করতে পারতেন, কিন্তু এটি কোন ভাবেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় পড়ে না। রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর্ণীতিবাজ রেজিস্ট্রার সামসুল হকের বিরুদ্ধে সময় টিভিতে সংবাদ প্রচার হওয়ায় এ মামলাটি করা হয়। প্রচারিত সংবাদের পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার সংবাদে সারাদেশের সাংবাদিকরা উদ্বিগ্ন;এর বিহিত হওয়া প্রয়োজন। সারা দেশের সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জাতীয় পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর। বৃহস্পতিবার সময় টেলিভিশনের বার্তা প্রধান মুজতবা দানিশ ও রংপুর ব্যুরো রতন সরকারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
০৯ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির সামনে ঝালকাঠি সাংবাদিক সমাজের উদ্যোগে সকাল ১১টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক দুলাল সাহা, ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আজমীর হোসেন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম টুটুল, সময় টিভির ঝালকাঠি প্রতিবেদক পলাশ রায়, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক কে এম সবুজ, দৈনিক গাউছিয়া পত্রিকার প্রকাশক ও ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি অলোক সাহা, আরটিভির প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম জলিল প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, সময় টেলিভিশনের বার্তা প্রধান মুজতবা দানিশ ও রংপুর ব্যুারো প্রধান রতন সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার সহ ডিজিটাল নিরাপত্তার কালো আইন প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।