সাতক্ষীরা দেবহাটার কুলিয়া ইউনিয়নের জামায়াত নেতা একাধিক মামলার আসামী রওশন মাওলানা। পৈত্রিক সম্পত্তি তার কাছে বিক্রয় না করায় জমির মালিকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন তিনি।জানা গেছে, কুলিয়া বাজারের মেইন রোড সংলগ্ন ৫৭৯ দাগে মো: কোরবান আলীর ১৩ শতক জমি আছে। জমিটি রওশন মাওলানার দুই জমির মাঝখানে অবস্থিত। পৈত্রিক ভিটায় কোরবান আলী স্থায়ীভাবে বসবাস না করায় সুযোগে রওশন মাওলানা জমির উভয় পাশের আড়াই ফুটের বেশি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে দোকানঘরের দেওয়াল ও প্রাচীর নির্মাণ করেন।এ ব্যাপারে মো: কোরবান আলী ২০১৩ সালে দেবহাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে তৎকালীন ওসি দাউদ আলী রওশন মাওলানা কে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন । সেই সময় রওশন আলী অবৈধ স্থাপনার কিছু অংশ নাম মাত্র ভেঙে ফেলেন। জমির মালিক মো: কোরবান আলী স্থায়ীভাবে বসবাস না করায় আবার ও জমি দখল করতে পায়তারা শুরু করে রওশন আলী।পরবর্তীতে কোরবান আলীর ছোট ছেলে এ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান ২০১৮ সালে দেবহাটা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে দেবহাটা থানার তৎকালীন ওসি কামাল হোসেন সরেজমিনে দেখে রওশন মাওলানা কে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন ।এরপরেও আধিপত্য বিস্তার করে রওশন মাওলানা বিভিন্ন সময়ে উক্ত জমি অবৈধভাবে দখল করে নেওয়ার হুমকি দেয়। এতে কোরবান আলী তার সম্পত্তি বেদখলের ভয়ে সেখানে দোকান নির্মাণ করে । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রওশন মাওলানা বিভিন্নভাবে জমির মালিকদের কাছে চাঁদা দাবি করেন ও শ্রমিকদের নির্মাণ কাজে বাঁধা দেন। তাকে চাঁদা না দেওয়ায় সে এডিএম আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা করে এবং নির্মাণাধীন দোকানের ক্ষতিসাধন করে।রওশন মাওলানা তার বাড়ীর সামনে সিএন্ডিবি রাস্তার জায়গায় অবৈধভাবে বিশাল পাকা রিজার্ভ ট্যাংকি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে । প্রায়ই সে এভাবে অনৈতিক কাজ ও অন্যের সম্পত্তি অবৈধ দখল নেওয়ার পায়তারা চালায়। রওশন মাওলানা বিত্তশালী হওয়ায় কেউ তার অপকর্মের প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনা। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ।
উল্লেখ্য ২৭.০৩.১৯ তারিখ ভোর রাতে নির্মাণাধীন মার্কেট এর পানির মটর, কিছু রড়, ঢালাই করা ছাদের বাশেঁর খুটি ও দেওয়াল ভেঙে চুরি ও ক্ষতিসাধন করে। এই মর্মে থানায় এজাহার দায়ের করে কোরবান আলীর বড় ছেলে বাদী মোঃ রাশিদুল হাসান।
আজ শুক্রবার দেবহাটা থানার এস আই মোসতাফিজুর রহমান এই ঘটনা তদন্ত করেন বলে জানা গেছে।