“মানুষ বদলালে সংস্কৃতি বদলায়, আর মানুষ বদলে যায় অন্য মানুষের পারিপার্শ্বিক আচরনের প্রভাবে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে নিরুৎসাহিত করে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ককে সমাজের মৌলিক একক গণ্য করে, তাদের জুঁটি অখন্ড রাখতে পারস্পরিক বিশ্বস্ততা, ত্যাগ এবং বৈবাহিক জীবনের দৈনন্দিন আনন্দের সৌন্দর্যকে সম্মান জানিয়ে পালন হয় বিশ্ব বিবাহ দিবস (WMD)
১৯৮১ সালে লুইসিয়ানার ব্যাটন রুজে বিবাহ দিবস উদযাপনের ধারণাটি মেয়র, গভর্নর এবং বিশপ’দের “আমরা বিবাহ দিবসে বিশ্বাস করি” ঘোষণা করতে প্রন্তাব করেন, ধারনাটি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৯৮২ সাল নাগাদ, ৪৩ রাজ্যের গভর্নর অফিসিয়ালি দিবসটি পালনের ঘোষণা দেন। তা মার্কিন মুলুকে ও বিভিন্ন দেশে তাদের সামরিক ঘাঁটিতে পালন করা শুরু হয়। ১৯৮৩ সালে নাম পরিবর্তন করে “বিশ্ব বিবাহ দিবস” করা হয়, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় রবিবারে বিবাহ দিবস এবং ৭ থেকে ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিবাহ সপ্তাহ পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই মোতাবেক চলতি বছর ১২ ফেব্রুয়ারি WMD পালিত হয়েছে। চলতি বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য “Marriage…one flesh, given and received”
ইতিমধ্যে WMD উদযাপন বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তবে, দেয়া নেয়ার হিসাব কম আর এ দিবসকে ঘিরে ব্যবসা কম, তাই প্রচারনাও কম। এ দেশে এমন দিবস পালন শুরু হলে কতশত প্রমিজ ভাঙ্গা পড়তো আর কতগুলো জুটি পূর্ণতা পেতো তা দেখা যেতো। আরও জানা যেতো আইন, ধর্ম ও সামাজিক রীতি ও প্রথা মেনে কতজন এমন স্থায়ী সম্পর্কে বিশ্বাসী….
*** আরও বিস্তারিত জানতে উইকিপিডিয়া অথবা গুগলে World Marriage Day লিখে সার্চ করতে পারেন।
লেখকঃ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির আইন প্রশিক্ষক হাসান হাফিজুর রহমান।