মাগুরা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ওই কলেজের ৫৭ পরীক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ প্রায় ৫ লাখ টাকা নিয়ে সটকে পড়েছেন তারা। পরীক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মাগুরা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে জেলা ছাত্রলীগ। গত রোববার রাতে জেলা ছাত্রলীগের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।পরীক্ষার সুযোগবঞ্চিত মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী ইমন হোসেন শান্ত বলে, পরীক্ষার ফরম পূরণ করে দেওয়ার কথা বলে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হুদা অমি এবং সাধারণ সম্পাদক ইমন শেখ আমিন আমার কাছ থেকে দুই দফায় ৮ হাজার ৩শ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু তারা আমার ফরম পূরণ না করে সব টাকা মেরে দিয়েছেন।একই অভিযোগ করে রিয়াজ হোসেন বলে, আমাদের দুই বন্ধুর কাছ থেকে তারা ১৬ হাজার ৬শ টাকা নিয়েছেন। ফরম পূরণের যাবতীয় কাগজপত্রও তারা নিয়েছেন। কিন্তু ফরম পূরণ না করে সব টাকায় নিজেদের পকেটে পুরেছেন। গত দুইদিন ধরে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন মুক্তা জানান, মাগুরা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ৫৭ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ফরম পূরণের টাকা কৌশলে হস্তগত করেন ওই কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হুদা অমি ও সাধারণ সম্পাদক ইমন শেখ আমিন। সংগৃহিত টাকা কলেজে জমা না দিয়ে ওই দুই ছাত্রলীগ নেতা সেটি আত্মসাত করেন।ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মাগুরা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সূর্যকান্ত বিশ্বাস জানান, ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা ৫৭ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ফরম পূরণের জন্য মাথাপিছু ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ৭ জন নির্বাচনী পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছিল। তারা ৩০ মার্চ তারিখে কলেজে এসে ঘটনা জানানোর পর স্থানীয় এমপি সাইফুজ্জামান শিখরের সহযোগিতায় দ্রুত যশোর বোর্ডে যোগাযোগ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যরা অকৃতকার্য হওয়ায় তাদেরকে পরীক্ষা দেওয়ানো যায়নি।ঘটনা জানাজানির পর থেকেই আদর্শ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের অভিযুক্ত সভাপতি সম্পাদক গা ঢাকা দিয়েছেন। এমনকি গতকাল সোমবার তাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।