মারুফ সরকার,স্টাফ রির্পোটার: সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২৩ ইং র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র্যাব-৩ এর একটি চৌকস টীম রাজধানীর বাড্ডা এলাকা হতে বিশেষ আভিযান পরিচালনা করে ২০১৩ সালে মিরপুরের পূর্ব মনিপুরের ১০৫০/৩ কাঁঠালতলার একটি ভবন থেকে শাহ আলী থানায় কর্মরত এএসআই হুমায়ুন কবির (৪৪)‘কে শ্বাসরোধপূর্বক বিষক্রিয়া ইনজেকশন গায়ে প্রবেশ করে নৃশংসভাবে হত্যার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ পলাতক আসামি ফজিলাতুন্নেছা রিয়া চদ্রনাম মডেল অধরা (২৯) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতার কালে তার হেফাজত হতে ৫৮ গ্রাম গাঁজা, ০২ টি মোবাইলফোন এবং পরিচয় পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তৈরীকৃত ১ টি জাল এসএসসি সার্টিফিকেট উদ্ধার করে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
অধিনায়ক জানান, আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কৃতকর্মের বিষয়টি স্বীকার করে। ধৃত আসামি ২০১৩ সালে শাহ আলী থানায় কর্মরত এএসআই হুমায়ুন হত্যাকান্ডের পর পালিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে চাকুরী শুরু করে পলাতক জীবনের সূচনা করে। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে নাম-পরিচয় পরিবর্তন করে জাল এসএসসি সার্টিফিকেট তৈরি করে ঢাকায় এসে একটি মাল্টিমিডিয়া কোম্পানীর সেল্স ম্যান হিসেবে চাকুরী শুরু করে।
তিনি আরো জানান, মডেল অধরা ২০১৬ সাল থেকে মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে চিত্রজগতের সাথে জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে চিত্রজগতের সাথে তার দৈনন্দিন অভিনয় জীবন চলমান থাকা অবস্থায় তার ব্যক্তিগত পরিচয়পত্রের নাম ফজিলাতুন্নেছা রিয়া থেকে সুকৌশলে ছদ্মনাম সুহাসিনী অধরা নামে পরিচয়পত্র পরিবর্তন করে। পরবর্তীতে উক্ত নামে চিত্র জগতে নিজেকে বিখ্যাত মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে রাজধানীর মেরুল বাড্ডার সুবাস্ত টাওয়ারের একটি বাসায় নিজেকে আত্নগোপন করে বসবাস করে আসছে।গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান ফারজানা হক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) র্যাব-৩।