১৯৯৪ সালের মে মাসের এক দিনের কথা। ৯ বছর বয়সী পুত্রকে নিয়ে দক্ষিণ লন্ডনে শিশুমনোবিদের দ্বারস্থ হয়েছেন এক মা। তিন বছর বয়সেই শিশুটির মধ্যে ‘অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার’ দেখা দিয়েছিল। মনোবিদই জানালেন, শিশুটি কানে শুনতে পায় না, বাকি জীবনও তাকে এভাবেই পার করতে হবে। এ-ও বললেন, তার বোধশক্তি দুর্বল। ফলে সব সময়ই সমবয়সীদের থেকে বুদ্ধি ও জ্ঞানে সে ১০-১৫ বছর পিছিয়ে থাকবে।মনোবিদের এসব কথায় ভীষণ আঘাত পেয়েছিলেন সেই মা। তবে হাল ছাড়েননি। চিকিৎসককে সেদিনই জবাব দিয়েছিলেন, ‘আমি জানি, আমার ছেলেটা একদিন দারুণ সব কাজ করবে। আর সেদিন হাসি থাকবে আমার মুখে। কারণ, সমগ্র বিশ্ব তখন আমার সন্তানের কাজ দেখতে ব্যস্ত থাকবে।’
২৮ বছর পরের কথা। সব বাধা অতিক্রম করে কেমব্রিজের শিক্ষক হতে চলেছেন সেই শিশু । তাঁর নাম জেসন আরডে। জেসনকে বলা হচ্ছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বকনিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যাপক।