শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
নওগাঁ ব্লাড সার্কেলের নবনির্বাচিত সভাপতি নাহিদ, সম্পাদক রিজভী ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত ৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন এর যৌথ প্রেস বিবৃতি আম্মানে ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন গোয়ালন্দে ৪০ বোতল ফেনসিডিল সহ দুইজন গ্রেফতার জি.এম.এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ উদযাপিত গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বন বিভাগের জমিতে পুনরায় গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা: কার্যকর হচ্ছে না উচ্ছেদ অভিযান চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ উদ্‌যাপন উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণ সকল বীর ভাষা শহীদ এবং ভাষা আন্দোলনের প্রবীণ সৈনিকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণ

ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ঝামেলামুক্ত সেবা দানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩, ৮.২২ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জমির মালিকানা সংক্রান্ত সামাজিক ও পারিবারিক সমস্যার অবসান এবং ঝামেলামুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি)-তে দেশের প্রথম তিন দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ভূমির মালিকানা সুনির্দিষ্ট করার জন্য ভূমি বন্টন ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করতে হবে এবং এর ফলে পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যার সমাধান হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজে এটা খুবই সাধারণ ঘটনা যে ভাই-বোন উভয়েই একে অপরকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে-যার ফলে হামলা, হত্যা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তিনি আরো বলেন, ‘যদি একটি সঠিক ভূমি ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায়, তাহলে সমস্যার সমাধান হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সকল মানুষের জমির মালিকানা রক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আপনি দেশে এবং বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন- আপনার (দেশবাসী) সম্পত্তি আপনারই থাকবে। আমরা আপনার অধিকার সুরক্ষিত ও সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি।’

জমি সংক্রান্ত পরিষেবা পাওয়ার সময় জনগণকে কিছুতেই ঝামেলার সম্মুখীন করা যাবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি ডিজিটাল ল্যান্ড সিস্টেম তৈরি করছি বলে সমস্যাটি আর থাকবে না।’
একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সাতটি উদ্ভাবনী উদ্যোগেরও সূচনা করেন। এগুলো হলো- লক্ষ্মীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতিস্তম্ভ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গুচ্ছগ্রাম কমপ্লেক্স, রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন ইন্টারকানেকশন, স্মার্ট ল্যান্ড ম্যাপ, স্মার্ট ল্যান্ড রেকর্ডস, স্মার্ট ল্যান্ড পিডিয়া, স্মার্ট ল্যান্ড। সারাদেশে ৪০০ উপজেলায় সার্ভিস সেন্টার ও আধুনিক ভূমি অফিস।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভূমি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সাতটি উদ্যোগের প্রতিটি একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
প্রধানমন্ত্রী জনগণকে ঝামেলামুক্ত ও দ্রুত ভূমি সংক্রান্ত সেবা দিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
ভূমি সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। রাজবাড়ি সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) নূরজাহান আখতার সাথী সহকারি কমিশনারদের পক্ষ থেকে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

সম্মেলনের উদ্দেশ্য একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা তুলে ধরা ও ভূমি সেবার ডিজিটালইজেশনের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলো খুঁজে বের করা।

জাতীয় ভূমি সম্মেলনের অন্যান্য উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে-ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে নাগরিক, সরকারি সংস্থা ও স্টেকহোল্ডারদের অবহিত করা, ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং ভূমি সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান সম্পর্কে ধারণা প্রদান।

প্রধানমন্ত্রী ২০১৩-১৪ সালে তথা-কথিত আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামাতের দেশব্যাপী সহিংসতার কথা দেশবাসীকে মনে করিয়ে দেন। তখন তারা রাস্তায় যানবাহনে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল এবং ছয়টি ভূমি অফিসসহ ৭০টি সরকারি কার্যালয়ের ক্ষতি সাধন করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব অফিসে হামলার ফলে সারাদেশে ভূমি অফিসগুলোর জরাজীর্ণ অবস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল। তাঁর সরকার আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত উন্নত উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণ করেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আজ আমি ৪০০টি উপজেলায় আধুনিক ভূমি অফিস উদ্বোধন করেছি। বিএনপি-জামাত চক্র জনগণের সম্পদ ধ্বংস করে আর আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে তৈরি করে। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য জনগণের সেবা করা, আমাদের লক্ষ্য দেশবাসীর শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।’

একটি আধুনিক, সময়োপযোগী ও ডিজিটাইজড ভূমি ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য তার সরকারের পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার অনলাইন ভূমি নামজারি এবং কিউআর কোডসহ ডিসিআর ও ভূমি কর প্রদান ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে।

তিনি বলেন, দেশবাসী ১৬১২২ নম্বরে কল করে এবং ষধহফ.মড়া.নফ সার্চ করে বিশ্বের যে কোনো স্থান থেকে নামজারি, খতিয়ান ও ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানসহ ভূমি সংক্রান্ত সেবা পেতে পারেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ভূমি অফিসগুলো এ পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি ফোন কল পেয়েছে- যার মধ্যে ৬৮০০টি কল বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তিদের কাছ থেকে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, যে কেউ তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে অনুসন্ধান করে তার জমির অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ব্যবস্থা চালু করার ফলে জনগণ দ্রুততম সময়ে জমি সংক্রান্ত সেবা পাচ্ছে। ভূমি ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন খুব শীঘ্রই সম্পন্ন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আধুনিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে ভূমি সংক্রান্ত সেবা থেকে রাজস্ব আদায় বেড়েছে এবং এ খাত থেকে এ পর্যন্ত ৭৭০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ‘ডেভেলপিং ট্রান্সপারেন্ট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবল পাবলিক ইন্সটিটিউশনস’ ক্যাটাগরিতে মর্যাদাপূর্ণ ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ অর্জনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় এবং ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) অ্যাওয়ার্ড ২০২২ অর্জনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ’স ডিজিটাল ল্যান্ড (ডেভেলপমেন্ট) ট্যাক্স সিস্টেমকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, আমি ভূমি মন্ত্রণালয়কে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। কারণ এটি দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে উৎপাদন বাড়াতে কৃষি ব্যবস্থায় যান্ত্রিকীকরণ করছে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমি করমুক্ত এবং দেশের স্বাধীনতার পরপরই কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব সার্টিফিকেট মামলা বাতিল করে ঘোষণা করেছিলেন, যে কেউ সর্বোচ্চ ১০০ বিঘা জমির অধিকারী হতে পারবে এবং অতিরিক্ত জমি ভূমিহীনদের বরাদ্দ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী কৃষি উৎপাদন বাড়াতে দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান যাতে করে বাংলাদেশকে খাদ্য শস্যের জন্য কারো ওপর নির্ভর করতে না হয়।

তিনি আরো বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশসহ গোটা বিশ্ব অর্থনৈতিক ও খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘তাই, আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমরা আর আমদানির ওপর নির্ভর করে থাকতে চাই না। আমরা আমাদের নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত খাদ্য শস্য অন্য দেশে রপ্তানি করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
22232425262728
       
       
  12345
20212223242526
2728293031  
       
15161718192021
2930     
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com