হাফিজুর রহমান শিমুলঃ কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবে নিরাপত্তাহীনতায় সংবাদ সম্মেলন করলেন মাসুমা পারভীন। তিনি কালিগঞ্জের রতনপুর ইউনিয়নের কাশিশ্বর পুর গ্রামের মোঃ শাহিনুর রহমানের স্ত্রী। রবিবার (৯ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাসুমা পারভীন বলেন আমি বরসা অফিসে ২০ বছর সংগঠক পদে সুনামের সহিত চাকুরী করিয়া আসিতেছি। সম্প্রতি বরসা সংগঠনের পরিচালক একেএম আনিছুর রহমান দুবাইতে গিয়ে মারা যাওয়ার পর থেকে বরসা সমিতির ভাটা পড়ে যায়। এবং রতনপুর এরিয়া সমিতিতে ব্যাপক সংকট দেখা দেয়। সমিতির সদস্য এবং গ্রাহকরা বিভিন্ন সময় অফিসে টাকা দাবী করে এবং অফিসে লোকজনের উপরে চাপ প্রয়োগ ও হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে এরিয়া অফিস বন্ধ হয়ে যায়। আমরা বরাবর অফিসের উদ্ধর্তন কতৃর্পক্ষের নিকট গ্রাহকদের টাকা পরিশোধের জন্য অনুরোধ করি। গ্রাহক শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গত ১৬/০৩/২০২৩ তারিখ আনুমানিক ৯টায় আমার বাড়িতে অতর্কিতভাবে শফিকুল ইসলাম, পিং রুস্তুম, গ্রাম কাশিশ্বপুর, রফিকুল ইসলাম, পিং আদর আলী, গ্রাম কাশিশ্বরপুর, রশিদ, পিং রুস্তুম, সোমসের, পিং নরিম গাজী, গ্রাম গড়ইমহল, আবু তাহের, পিং আব্দুল খালেক, জাহিদ গাজী, পিং মৃত কাশেম, শামীমমুল ইসলাম, পিং শহিদুল ইসলাম, গ্রাম গান্ধুলিয়া, মনিরুল ইসলাম, পিং কওছার গাইন, গড়ইমহল, আফনুরজামান, পিং শফিকুল, জাহাঙ্গীর, পিং মোশারাফ, নাজমা বেগম, স্বামী তৌহিদুর রহমান, গ্রাম কাশ্বিরপুর, ১২। হালিমা বেগম, স্বামী কদমআলী, সাং গান্ধুলিয়া, দেবলা বিশ্বাস, মৃত সাধন বিশ্বাস, গ্রাম গড়ই মহল, রাজিয়া সুলতানা, স্বামী বাদশা, সাং গড়ই মহল, নুর জাহান, স্বামী মকবুল হোসেন, সহ অজ্ঞাত নামা ২০/৩০ জন ব্যক্তি দলবদ্ধ ভাবে আমার বসত ঘরের ভিতরে জোর পূর্বক প্রবেশ করে ৩টি সোনার চেইন, ৩টি আংটি, ২ জোড়া দুল, দুটি বাচ্চার জামা, প্যান্ট এবং আলমারিতে থাকা নগদ দেড় লক্ষ টাকাসহ রাইস কুকার, থালা বাসন, হাঁস মুরগী, অন্যান্য জিনিসপত্র লুটপাট করে প্রায় অনুমান ১০ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিসাধন করে। হামলা, মারপিট ও ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং বাড়ির ভিতরে থাকা জিনিস পত্র ক্ষতিগ্রস্থ করে। এসময় আমি কালিগঞ্জ থানায় মোবাইল করলে ২জন পুলিশ আমার বাড়িতে যায় এবং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। পুলিশের সামনে আমার পাসপোর্ট নিয়ে নেয় তারা। আমার ঘরে জোর পূর্বক প্রবেশ করে মালামাল লুট, ক্ষতিগ্রস্থ ও মারপিটের অভিযোগে সাতক্ষীরা আমলী আদালতে একটি মামলা করি, মামলা নং—১৮৬/২৩। মামলার পর থেকে বিবাদীরা বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। আমি পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে নিরাপত্তাহীণতায় থাকায় বিষয়টি গত ২২ মার্চ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে সরাসরি স্বাক্ষাৎ করে সব ঘটনা বলি। তিনি আমার কথা সোনার পর স্থানীয় থানায় জিডি করার পরামর্শ দেন। ঐ দিনেই আমি থানা অফিসার ইনচার্জ এর সাথে দেখা করে ঘটনা খুলে বলি এবং একটি সাধারণ ডায়েরী করি, যার নং১১৩০, তারিখ—২২/০৩/২০২৩। ডায়েরী করার পর থেকে বিবাদীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ও আমার স্বামী, ছেলে মেয়ে তাদের কে খূন জখম করার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় এবং বিভিন্ন জায়গায় আস্ফলন করতে থাকে। বিবাদীদের কারণে আমি বর্তমান স্বামী সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তারা যে কোন সময় আমাদের বাড়িতে আবারও বড় ধরনের হামলা ও খুন জখম করতে পারে। তাদের ভয়ে সন্তানদের নিয়ে আমি গত এক সপ্তাহ যাবত নিজের গৃহ ছেড়ে অন্যত্রে অবস্থান করছি। বরসা সমিতির নির্বাহী পরিচালক একেএম আনিছুর রহমান তার নিজস্ব লোক দিয়ে অধিক মোনাফার লোভ দেখিয়ে এলাকার মানুষদের কাছ থেকে কোটি কোটি আয় করেছে। সমিতির সদস্যরাও লাভের আশায় তারা বরসা সমিতিতে টাকা জমা রেখেছে। আমি একজন চাকুরী জীবি হিসাবে সমিতির কাজ করেছি মাত্র। কিন্তু বরসা সমিতির সকল দায় দায়িত্ব আমার উপরে চাপিয়ে দিয়ে আমাকে মানুষিক ভাবে নিযাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে। যারা আমার বাড়িতে লুটপাট করেছে আমার ও আমার সন্তান পরিবারের উপরে খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে আমি এ বিষয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী ও প্রশাসনের উদ্ধর্তন কতৃর্পক্ষের হস্তক্ষেপ কামান করছি। সংবাদ সম্মেলনকালে প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ ও বর্ষার কর্মী মাজেদা পারভীন এবং মাসুমা পারভীনের ভাই আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।