মারুফ সরকার ,স্টাফ রিপোটার : সেনবাগে কঠিত চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য অতিষ্ঠ সেবারহাটবাসী বাদ যায়নি সাংবাদিকও! নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নোয়াখালী জেলার অন্যতম জনবহুল থানা সেনবাগ।সেনবাগ থানার অধিনস্ত পাইকারী ও খুচরা মালামাল বেচা-কেনার অন্যতম সেবারহাট বাজার। যেখানে অত্র এলাকার মানুষসহ দুর-দুরান্ত থেকে মানুষ আসে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার ঘাট করতে।সুধু তাই নয় সেনবাগ থানাধীন প্রধান কোরবানির পশু বেচা-কেনার হাট সেবারহাট বাজার,জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা ভোগান্তি সত্ত্বেও গরু ব্যবসায়ী ও খামারিরা একটু লাভের আশায় সেবারহাট আসে পশু বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে।নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক এক গরু ব্যবসায়ী গত বছর কুরবানীর ঈদে গরু বিক্রি করে টাকা নিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে সেবারহাটের চিন্তিত কিছু বখাটে চাঁদাবাজদের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছেন নিজ এলাকা হয়ে ও ভয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন নি বলে জানান তিনি।কোরবানির পশু বিক্রয়ের সঙ্গে তার জীবন ও জীবিকা জড়িত। কিন্তু সেবারহাটে ঢোকা মাত্র গরুর খামারি ও ব্যবসায়ীসহ নানা ধরনের হয়রানি, ভোগান্তি এবং চাঁদাবাজদের শিকার হতে হয় বলে ও অভিযোগ করেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে ঈদের ছুটিতে বাড়ি বেড়াতে আসেন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার ঢাকার সিনিয়র রিপোর্টার ( ক্রাইম) কর্মরত পেশাদার সাংবাদিক মাসুদ রানা।গত ২৩ এপ্রিল ২৩ ইং সোমবার রাত অনুমান ১০ঃ৩০ ঘটিকার সময় সেবারহাট স্কুল মার্কেটের সামনে আসলে আব্দুর রহমান(রকি) নামে এক ভূয়া ডাঃ পরিচয় দানকারীর সার্বিক সহযোগিতায় কতিপয় চাঁদাবাজরা সাংবাদিক মাসুদ রানা’কে জোরপূর্বক অবৈধ ভাবে অবরুদ্ধ করে তার মোবাইল মানিব্যাগ ও বাইকের চাবী চিনিয়ে নেয় এক পযার্য়ে নিজেদের অত্র এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী দাবী করে বড় অংকের চাঁদা দাবী করে।
চাঁদাবাজদের সার্বিক সহযোগিতা করেন স্থানীয় ভূঁইফোড় এক ভূয়া সাংবাদিক নামধারী মোঃ সামসুল হক।সামসুল হক স্থানীয় “খবর বাংলা”নামক একটি অনলাইন কাজ করেন,সুধু তাই নয় তার পাশাপাশি নাকি তিনি ১০ টার অধিক পত্রিকায় কাজ করেন বলে জানান তিনি।মূলত স্থানীয় নোমান গং দের চাঁদাবাজীর কাজে সহযোগিতা করেন এই হলুদ সাংবাদিক নাম ধারী সামসুল হক। সরজমিনে খবর নিয়ে জানা গেছে অত্র এলাকার যেসকল চাঁদাবাজী ও ছুরি ছিনতাই ঠেক দিয়ে চাঁদা আদায় করাসহ সবই হয় নোমান গ্যাং এর নেতৃত্বে।চাঁদাবাজী ও বিচার সালিশি জোরপূর্বক ধরে নিয়ে এসে টাকা আদায় করার জন্য ২য় তলায় জোরপূর্বক তিনটি দোকান নিয়ে রেখেছেন সন্ত্রাসী নোমান গ্যাং । সন্ধ্যা নামার পর থেকে হয় মার্কেটের পিচনের সাইটের উক্ত দোকান গুলোতে হয় জুয়ার আসর যাহা তদন্তকালে সেনবাগ থানা পুলিশ স্ব-চোখে দেখেছেন। উক্ত বিষয়ে সাংবাদিক মাসুদ রানা সেনবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের সাহসি তত্পরতায় টনক নড়েন স্থানীয় চাঁদাবাজ নোমান গ্যাং সহ অন্যান্য চাঁদাবাজদের।নিমিশে লাফাত্তা হয়ে যান তারা ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার জোর তদবীর ও চালাচ্ছেন চাঁদাবাজরা। এই বিষয়ে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বলেন,আমাদের এসপি স্যারের কঠোর নির্দেশ দেওয়া আছে মাদকসেবন,মাদক বিক্রি,মাদকের সাথে জড়িত সকল কার্যক্রম,স্কুল কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের ইফটিজিং,ছুরি ছিনতাই ও চাঁদাবাজদের কোনো ছাড় নয় ! এই সকল বিষয়ে কোনো তদবির নয় ! তাদের ধরে আইনের আওতা আনতে আমরা বদ্ধ পরিকর । সুন্দর ও শৃঙ্খলাভাবে এলাকায় থাকতে পারলে থাকবে,না হয় অন্যত্র চলে যাবে ।আইন শৃঙ্খলা বঙ্গ করলে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার আমরা সেই পদক্ষেপ গ্রহন করবো।আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে এমন কোনো কাজ করতে