সাঘাটা গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ
পুলিশ সুপারের প্রেস কনফারেন্স
ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন পূর্বক ৫ জন আসামী গ্রেফতার।
গাইবান্ধা জেলার পুলিশ সুপার কামাল হোসেনের সার্বিক দিক নির্দেশনায় সাঘাটা থানার ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন পূর্বক ৫ জন আসামী গ্রেফতার । গত ইং ২০/০৩/২০২৩ ইং দুপুর ১২.০০ ঘটিকার সময় সাঘাটা থানাধীন বাদিনার পাড়া গ্রামের জনৈক আব্দুল্লাহর ভুট্টা ক্ষেতের ভিতরে সাঘাটা থানার পবনতাইর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে রুবেল হোসেন (২২), নামের মৃত্যৃদেহ পাওয়া যায়। ডিসিস্ট এর মৃত্যুদেহ উদ্ধার পূর্বক পোস্টমর্টেম করা হয়। পরবর্তীতে ঘটনা সংক্রান্তে সাঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। এটি একটি ক্লুলেস হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলাটি রুজু হওয়ার পর সাঘাটা থানার একটি টিম নিরন্তর প্রচেষ্টা ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যা কান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত থাকায় ০৩ জনকে গ্রেফতার করে তারা হলো, ওবায়দুল ইসলাম (২৪) রুবেল মিয়া (২২) জসিম উদ্দিন (৩২)দেরকে ঢাকা জিরাবো এলাকা হতে গ্রেফতার করে। তাদের ০২ জনের বাড়ি সাঘাটায় এবং অপর ০১ জনের জনের বাড়ি বরিশাল জেলার হিজলা থানা এলাকায়। গ্রেফতারকৃত ওবাইদুলের নিকট হতে মৃত্যৃ রুবেল হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আসামীদ্বয়ের দেওয়া তথ্য মতে ডিসিস্টের চুরি যাওয়া অটোভ্যানটি ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত থাকায় ০২ জনকে গ্রেফতার করে, তারা হলো সাজু মিয়া (৪০) ও রেজাউল করিম (৫০) দ্বয়ের হেফাজত হতে অটোভ্যানের বিভিন্ন অংশ ০১টি টায়ার বিহীন চাকা, ০১টি হ্যান্ডেল, ০১টি লুকিং গ্লাস, ০১টি যাত্রী বসার সিট ও ০১টি এক্সেল উদ্ধার করা হয়। হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত আসামী ওবাইদুল, রুবেল ও জসিমকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ঢাকা জিরাবো এলাকায় একসঙ্গে বিভিন্ন কাজকর্ম করে থাকে। ঘটনার ২দিন পূর্বে তারা ০৩ জন একত্রে সাঘাটা নিজ এলাকায় আসে এবং অটোভ্যান ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক ঘটনার দিন গত ইং ১৯/০৩/২০২৩ ইং রাত্রী অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় তারা ডিসিস্ট রুবেল এর অটোভ্যানটি সাঘাটা বাজার হইতে ভাড়া করে নিজ বাড়ী বাদিনারপাড়া গ্রামের দিকে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে নির্জন এলাকায় অটোচালক রুবেলকে তার ব্যবহৃত চাদর গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে এবং মৃতদেহ পাশের ভুট্টা ক্ষেত্রের ভিতরে ফেলে রেখে তারা অটোভ্যান ও মোবাইল নিয়ে চলে যায়। হত্যাকারী আসামীরা সাঘাটা- থানার বারোকোনা বাজারের পার্শ্বে আসামী সাজু মিয়া ও রেজাউল করিম দ্বয়ের নিকট অটোভ্যানটি ৯,৫০০/-টাকায় বিক্রি করে এবং ঐ রাতেই তারা একসাথে ঢাকায় চলে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ওবাইদুল, রুবেল ও জসিম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। আসামী ওবাইদুল, রুবেল ও জসিম ঢাকায় একই ভাড়া বাসায় থাকত। তারা মাদকাসক্ত। মূলত টাকার জন্যই আসামীরা অটো চালককে হত্যা করে অটোভ্যানটি নিয়ে যায়।