চোখের মাঝে একটা মহাকাব্য লেখা রয়েছে
হয়নি পড়া তখনও
চোখের মাঝে একটা মহাসাগর আছে
হয়নি সাঁতরে পাড়ি দেয়া কখনও
চোখের মাঝেও একটা কৃষ্ণগহ্বর থাকে
হয়নি দুরত্ব মাপা এখনও
রহস্যময় চোখের দুর্বোধ্য ভাষাটা
পড়ার সাহস হয়নিকো কখনও
একদিন সুদিপ্তা ওর চোখ থেকে
কাব্যের কয়েকটা ছত্র পড়িয়েছিলো
চোখে চোখ রাখলে নাকি
চোখেরা নাকি নিঃশব্দে কথা বলে
ওর নোনা জলে ভরা সাগরে
জোড়াবেঁধে রঙ্গিন মাছেরা সাঁতার কাটতো
পাল তোলা জাহাজ দূর বহুদুরে
দিগন্ত রেখা বরাবর
সাদা মেঘের সাথে মিশে যেতো
সমুদ্রে খুশীর জোয়ার ভাটা
বিষণ্নতার কালো মেঘ,
বিক্ষুব্ধ ঝঞ্ঝা সবই ছিলো
সব পেরিয়ে শান্ত নীল জলের
বুক চিরে ভেসে চলা জাহাজের
পাশাপাশি উড়েচলা গাংচিলটা
জানতো না ও চোখে লুকিয়ে থাকা
কৃষ্ণ গহ্বরের কথা
সেই থেকে আলোহীন শব্দহীন তরঙ্গহীন
কৃষ্ণগহ্বরে আটকে পড়া অনন্ত পথের যাত্রী
একটা বুকসাদা গাংচিল উড়ে চলেছে
একা, শুধুই একা…
©®HasanHafizurRahman
শুক্লপক্ষ মধ্যরাত্রি
১৬ বৈশাখ ১৪৩০
রাজশাহী