এক কিশোর তার দাদাকে জিজ্ঞাসা করলো, “দাদু, তোমরা প্রযুক্তি ছাড়া কীকরে বেঁচে ছিলে? এই কম্পিউটার, ইন্টারনেট, টিভি, এসি, গাড়ি, সেল ফোন এসব ছাড়া?”
দাদার উত্তর: “যেভাবে এখন তোমাদের প্রজন্ম বেঁচে আছে… কোন প্রার্থনা নেই, সহানুভূতি নেই, কোন সম্মানবোধ নেই, প্রকৃত শিক্ষা নেই, কোন ব্যক্তিত্ব নেই, কোন লজ্জা নেই, বিনয় নেই, কোন সততা নেই…
আমরা, যারা ১৯৪০-৮০ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছি, তারা ছিলাম ধন্য। আমাদের জীবনই তার বড় প্রমাণ, কয়েকটা উদাহরণ দেই…
• আমরা খেলার সময়, বাইক চালানোর সময়,
কখনও হেলমেট পরিনি। তবুও দূর্ঘটনা হয়নি
• আমরা স্কুলের আগে খেলতাম, স্কুলের পরেও
একেবারে বেলা ডোবা পর্যন্ত আর প্রতিদিন
টিভি দেখার সময় খুব কমই হয়েছে।
• আমরা জ্যান্ত বন্ধুদের সাথে খেলেছি, ভার্চুয়াল
বন্ধুর সাথে নয়।
• তেষ্টা পেলে নলকূপের হাতল চেপে হাতের
তালুতে জল ধরে পান করতাম, বোতলজাত
মিনারেল ওয়াটার নয়।
• এক কাপ চা চার বন্ধুর সাথে ভাগ করেও
খেতে আমরা মাইন্ড করিনি।
• প্রতিদিন ফাস্টফুড খেয়ে আমাদের ওজন
বাড়েনি।
• খালি পায়ে হাঁটলেও আমাদের পায়ের কিছুই
হয়নি।
• সুস্থ থাকার জন্য আমরা কখনই পুষ্টিমান
দেখে খাবার খাইনি।
• আমরা নিজেদের তৈরী খেলনা দিয়ে খেলতাম
• আমাদের বাবা-মা ধনী ছিলেন না। তারা
ভালবাসা দিতেন, দামী গিফট নয়।
• আমরা আমন্ত্রণ ছাড়াই বন্ধুদের সাথে দেখা
করতাম, তাদের সাথে খাবার ভাগ করে
খেতাম।
• বাবা-মা, ভাইবোন বিশাল পরিবারের সবাই
একসাথে থাকতাম।
• আমাদের ছবিগুলো সাদা কালো হতে পারে,
কিন্তু তাতে অনেক রঙিন স্মৃতি জড়িয়ে আছে
• আমরা অনন্য এক প্রজন্ম, আমরা আমাদের
পিতামাতার কথা শুনেছি এমন শেষ প্রজন্ম।
আবার আমরাই প্রথম যারা তাদের সন্তানদের
কথাও শুনে।
• আমাদের কাছে কখনও সেল ফোন, ডিভিডি,
গেম কনসোল, এক্সবক্স, ভিডিও গেম, পিসি,
ইন্টারনেট, চ্যাট ছিল না।
♦কিন্তু আমাদের সত্যিকারের বন্ধু ছিল।
• আসলে আমরা সীমিত সংস্করণ (Limited
Edition) একটা প্রজন্ম। পারলে আমাদের
থেকে কিছু শিখে রাখো…
লেখকঃ হাসান হাফিজুর রহমান।
কারণ, খুব শীঘ্রই আমরা বিলুপ্ত হয়ে যাবো!!