মোতালেব বিশ্বাস, ইবি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ব্যাচ-ডে (অবতরণিকা) উৎসবে পূর্ব সংঘর্ষ কেন্দ্র করে মোবারক হোসাইন আশিক নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৬ মে) সাড়ে আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান অভিযুক্তরা। অভিযুক্ত মুশফিকুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
জানা যায়, গত ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের অবতরণিকা উৎসবে টি-শার্ট বিতরণকে কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা বিভাগের তাসিন ইসলাম রাহিন, রাব্বি ফকির এবং ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মোবারক হোসেন আশিকসহ মার্কেটিং বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মুশফিকুর রহমান, সাব্বির শাওন ও রানা আহমেদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার রাতে আশিককে মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আহত মোবারক হোসাইন আশিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ল এ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আর মুশফিকুর রহমান ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
অবতরণিকা উৎসবে সংগঠিত মারামারির ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, উৎসবে অতর্কিত ওই হামলার ঘটনায় আশিকসহ কয়েকজনের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন মুশফিক। এ নিয়ে বারবার প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়ে বিচার চেয়েছিল মুশফিক। কিন্তু ঘটনার প্রায় দেড় মাসেও কোন তদন্ত প্রতিবেদন বা ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। এর জেরেই আশিককে মারধর করেছেন মুশফিক বলে ধারণা করেন তিনি।
অভিযুক্ত মুশফিকুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি।
এ বিষয়ে প্রক্টর শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, আজ (শনিবার) আমরা জরুরি মিটিং ডেকেছিলাম। পূর্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে কার্যক্রম শেষ করতে পারিনি তদন্ত কমিটি। আগামী সাতদিনের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রজ্বলিত-৩৫’ ব্যাচের ‘অবতরণিকা’ উৎসবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরপর তিন শিক্ষার্থীর উপর অতর্কিত হামলা ঘটনায় প্রথম থেকেই উদাসীন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের, কুষ্টিয়া
ফোন: 01788516697