দেশীয় সংগীত জগতে ‘সুরের রাজকুমারী’ খ্যাত জনপ্রিয় কণ্ঠতারকা আঁখি আলমগীর। সুন্দরী – সুরেলা এই গায়িকার বছরব্যাপী দেশ – বিদেশে স্টেজ শো’র দর্শকদের মাতাতেই বেশি ব্যস্ততা। এর পাশাপশি রয়েছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে জমকালো আয়োজনে দুর্দান্ত সব পারফরম্যান্স। অন্যদিকে নিজের নিত্য নতুন গান নিয়েও সারা বছর নিজের সরব উপস্থিতি জানান দেন আঁখি আলমগীর। আবার মূল পেশা সংগীতের বাইরে মাঝে মধ্যেই তিনি টিভি পর্দায় দর্শক – ভক্তদের অভিবাদন জানান বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবে। সব মিলিয়ে আঁখি আলমগীর সারা বহুমাত্রিক কাজে নিজের ব্যস্ততা জানান দেন। সম্প্রতি সুরের রাজকুমারী কথা বলেছেন নিজের চলমান কাজ আর ব্যস্ততা নিয়ে।
শুরুতেই তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তার গাওয়া সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘লায়লা’ গানটির সাফল্য তার চলমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে। আঁখি আলমগীর বলেন, গানটির প্রতি দর্শক – শ্রোতা – ভক্তদের বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করছি আমি। গানটির সাফল্যে আমি আনন্দিত। খুব শীঘ্রি নতুন কয়েকটি গানে কণ্ঠ দেওয়ার কথা রয়েছে। পরিকল্পনা আছে – কিছু পুরোনো গান নতুন করে গাইবারও। বিশেষ করে রুনা আন্টির (রুনা লায়লা) কিছু গান রিমেক করবো। আমি আশা করছি,আমার আপকামিং গানগুলো সবার পছন্দ হবে। এছাড়া টিভি অনুষ্ঠান ও স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ততা তো আছেই।
দেশীয় সংগীতে সাম্প্রতিক গানের কথামালা এবং সুর ও সঙ্গীত নিয়ে এই জনপ্রিয় সঙ্গীততারকা বলেন, গান করার ক্ষেত্রে অবশ্যই চমৎকার কথামালাকে প্রাধান্য দিতে হবে। গানের কথা এবং সুর – সঙ্গীত এমন করে সাজাতে হবে যেনো ওই গান আপামর শ্রোতা – দর্শকদের হৃদয়ে দাগ কাটে। সুর ও সংগীতায়োজনেও যত্নবান হতে হবে সবার। আমি বলবো – এই বিষয়ে সবাইকে সচেতনভাবে কাজ করতে হবে। যদি যত্ন নিয়ে কাজ করা যায়, তাহলে ভালো গানের প্রতি সবার আগ্রহ দেখা যাবে।
সারা বিশ্বের বহু দেশে স্টেজ শো মাতিয়ে দেশের সংগীত জগৎকে উজ্জ্বল করেছেন উচ্ছ্বল গায়িকা আঁখি আলমগীর। তার কাছে তাই জানতে চাওয়া হয়েছিল – বহির্বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সংগীত ও শ্রোতাদের মধ্যে পার্থক্য কতটা দেখেন ? তিনি বলেন, বাইরের দেশের শিল্পীরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা পান। শ্রোতারা উৎসব করে একজন শিল্পীর গান শোনেন নিজেদের উদ্যোগে। তাদের শিল্পীরা তো অবশ্যই গান গাওয়া ও তৈরিতে যত্নবান। বহির্বিশ্বের শিল্পীরা আর্থিকভাবেও বেশ সচ্ছল। তাদের মূল শক্তি শ্রোতা। শ্রোতারা অনেক দায়বদ্ধতা দেখায় তাদের প্রিয় শিল্পীর জন্য। আমাদের দেশেও এমনটা দেখা যায়, কিন্তু এই দায়বদ্ধতার পরিমাণ খুবই কম। সব কিছু ইন্টারনেটনির্ভর হওয়ার ফলে যে যার মতো করে গান শুনছে। আবার বেশির ভাগ শিল্পীও নিজেদের মতো গান করছে। এতে শিল্পীদের কতটা উপকার হচ্ছে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
আঁখি আলমগীরের কাছে সর্বশেষ জানতে চাওয়া হয়েছিল বহুল চর্চিত একটি বিষয় নিয়ে। এটি হলো অন্তর্জাল জগতে গানের ভিউ। এই ভিউ নিয়ে তিনি বলেন, একটি ভালো মিউজিক ভিডিওর ভিউয়ার্স থাকবেই। কিন্তু এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি কিংবা হৈ-হুল্লোড় করার কিছু নেই। আমি এই ভিউ নিয়ে ভাবি না। আমার গান যদি ভালো হয়, তাহলে মানুষ শুনবেন এবং সেই গান আমাকে স্টেজে গাইতে অনুরোধ করবেন। আর এটাই স্বাভাবিক। তাই ভিউ নিয়ে মাতামাতির কিছু নেই।