চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম mkprotidin ডটকমকে বলেন, শুক্রবার বিকালে নগরীর দামপাড়া এলাকায় সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিদর্শন করে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটারের বেশি গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে শুক্রবার সকালে ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করার পর অগ্রসর হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে মধ্যরাতে আঘাত হানতে পারে ফণী।
ঝড় থেকে সাবধানে থাকতে উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে জানিয়ে চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন mkprotidin ডটকমকে বলেন, “সন্দ্বীপের চরাঞ্চল থেকে অতি ঝুঁকিতে থাকা ১০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া উপকূলীয় উপজেলাগুলো থেকে আরও প্রায় ১০ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নেওয়া হয়েছে।”
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রামে ব্যাপক বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, “নগরীর যেসব পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি আছে সেখানে শনিবার সকাল থেকে অভিযান চালানো হবে।”
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আছে বলেও জানান তিনি।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিশেষ বার্তা অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লহ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।