ঢাকা ৩ মে ২০১৯:অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে এখনই নিবন্ধন চাই দাবিতে
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনলাইন সাংবাদিক কল্যাণ কেন্দ্র’র সাধারন সম্পাদক সাজেদা হকের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অনলাইন সাংবাদিকদের মূল দাবী উঠে আসে। তার ৩টি দাবীর মধ্যে ছিলো। (১) সাংবাদিক কারা? তার একটি নিয়ন্ত্রন নীতি থাকতে হবে। (২) যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে গ্রাজুয়েশন করেছে। তাদেরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। (৩) চাকরী দিতে হবে তাদেরকেই। যারা সাংবাদিকের তালিকাভুক্ত হয়ে আছেন।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা ১০ দফা দাবি তুলে ধরে। প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে ছিলো। পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা/ নিবন্ধন করতে হবে।
প্রেস ইন্সটিটিউট অফ বাংলাদেশ (পিআইবি), প্রেস এন্ড ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্ট (পিআইডি) ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল। এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ দায়িত্বে একটি কমিটি গঠন করে সাংবাদিক যা্চাই করতে হবে।
টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সম্পাদকের পদের জন্য সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অন্তত ১৫ বছর। অনলাইন পত্রিকার সম্পাদকের অভিজ্ঞতা অন্তত ১০ বছর।
অপসাংবাদিক, ভুয়া সাংবাদিক ও হলুদ সাংবাদিক ঠেকানোর প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নিতে হবে।
উল্লেখিত কমিটি সাংবাদিকদের অভিজ্ঞতার আলোকে সনদ বা নিবন্ধন চালু করবে।
এতে সংহতি প্রকাশ করে যোগ দেয় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)।
বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক আমান-উদ-দৌলা।বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর। ফোরাম নেত্রী মোনালিসা মৌ।, কেন্দ্রীয় সদস্য এম এ আকরাম।
সঞ্চালনায় ছিলেন সাজেদা হক। দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ মানববন্ধন চলে।
সাংবাদিক আমান-উদ-দৌলা তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন এতো সাংবাদিক, কে-যে আসল সাংবাদিক আমরা জানিনা। একথা বলা যায়, অপসাংবাদিক মূল-সাংবাদিকের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। তাই আমরা হারিয়ে গেছি।
আহমেদ আবু জাফর বলেন, পেশাদার সাংবাদিকদের রক্ষা করার জন্য সরকারকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। অপসাংবাদিকতা ঠেকাতে হবে।গণমাধ্যম দিবসকে গণমাধ্যম সপ্তাহে রুপান্তর করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। অরক্ষিত গণমাধ্যম অঙ্গনের শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারকে এখনি পদক্ষেপ নেয়া জরুরী হয়ে পড়ছে।