শামীম আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার।।
সাগর কন্যা জেলা পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ১নং আমখোলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ভাংরা ও আমখোলা বাজারের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত। এই কলেজটি স্থাপিত হয় ২০০৩ সালে এর EiiN 102336 পোস্ট :- আমখোলা, উপজেলা :- গলাচিপা, জেলা :- পটুয়াখালী।
উক্ত কলেজটি স্থাপিত হওয়া থেকেই প্রতিটি কাজের বেলায় যেমন শিক্ষাথীদের পরিক্ষা, নিয়োগ সহ কলেজের স্হাপন পর্যন্ত এবং গভর্নিং বডির কমিটিতে দুর্নীতিতে আজ কলেজটি এলাকার মানুষের কাছে মুখে মুখে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সোলাইমান মহসিনের কুকীর্তি আলোচনার ঝড় উঠেছে।
ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়া অনুসন্ধানের মাধ্যমে যানতে পারে ০৬/০৭/২০২২ খ্রি: তারিখে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রী M P O ভুক্ত হওয়ার ঘোষণা করেন এবং M P O ভুক্তের আওতায় আনা হয়।
M P O ভুক্ত হওয়ার পর থেকে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সোলাইমান মহসিন নানা তালবাহানা করা শুরু করেন এবং যে সকল কর্মচারীরা কলেজটি প্রতিষ্টাতা থেকে এ পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে কাজ করে আসছে বিনা বেতনে এবং অএ অঞ্চলে কলেজ না থাকায় অএ কলেজটি স্হাপনের জন্য ৭. একর জমি মোঃ আবুল হোসনে জে,এল ২৫ নং ভাংরা মৌজার এস এ ১৬৫ নং খতিয়ান দাতা মোঃ আবুল হোসনে অএ কলেজের সাবেক সভাপতি আঃ ছত্তার হাওলাদারকে ২০/০১/১৯৯৪ সালে সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এবং মোঃ আবুল হোসনে হাওলাদার এর দানকৃত জমিতে উক্ত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
মোঃ আবুল হোসনে এর ছেলে মোঃ আবদুল জলিল কে পর্যন্ত বর্তমানের নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার দেখিয়ে এরিয়ে যাচ্ছে এবং গোপনীয় ভাবে অএ এলাকার সরকার বিরোধী ও স্বাধীনতা বিরোধী সহ সমালোচনার ব্যাক্তিদের গোপনীয় ভাবে নিয়োগ দেওয়ার প্রচেস্টা চলিতেছে যা সমাজ বিরোধী, সরকার বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এক গুষ্টি । যে সকল ব্যাক্তিদের নিয়োগ বানিজ্য করে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে তাদের অনেকেই দেশের বাহিরে অবস্থান করেছিল এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিল।
উক্ত কলেজ প্রতিষ্ঠার পর পরিচালনা কমিটির সভাপতি আঃ ছত্তার হাওলাদার প্রভাষক, শরীরচর্চা শিক্ষক, গ্রন্হগারিক, অফিস সহকারী, অফিস সহায়ক, আয়া,নৈশ প্রহরী, ঝাড়ুদার পদে নিয়োগের জন্য বিগত ইংরেজি ০১/০৯/২০০৪ তারিখে বহুল আলোচিত প্রচারিত দৈনিক যুগান্তর পএিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে আঃ জলিল অফিস সহায়ক পদে ০৪/০৯/২০০৪ তারিখে আবেদন পএ জমা প্রদান করেন।
আমখোলা কলেজের অধ্যক্ষ ৪১/০৪ (২৩) নং স্মারকে বিগত ১৬/০৯/২০০৪ তারিখে অএ আবেদন পএ গ্রহণ করিয়া সাক্ষাৎকার, সভার সুপারিশ এবং কলেজ পরিচালনা কমিটির অনুমোদন ক্রমে আমখোলা কলেজে অস্থায়ী ভিক্তিতে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। অএ তারিখ থেকে নিয়মিত ভাবে তার দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছেন। আমখোলা কলেজে অফিস সহায়ক হিসাবে মোট ০৭ জনকে নিয়োগ প্রদান করেন। এবং ঐ ০৭ জনের ভিতরে ০২ জন নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যাক্তি মোঃ নিজাম প্যাদা ও মোঃ শাজাহান হাওলাদার দীর্ঘদিন পর্যন্ত মালেশিয়ার প্রবাসী হিসেবে অবস্থান করেন এবং উক্ত কলেজ এম পি ও তালিকা ভুক্ত হওয়ার কথা শুনিয়া মালেশিয়া থেকে দেশে ফিরে আসে। তারা বিদেশে থাকার কারণে একদিনও হাজিরা দেন নি। এবং কোন দায়িত্ব পালন করেননি।
জমিদাতা মোঃ আবুল হোসনে হাওলাদারের ছেলে মোঃ আঃ জলিল নিয়মিত তার দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছে এবং এম পি ও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার একমাত্র অগ্রাধিকার বটে। সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করিতেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সোলাইমান মহসিন। এবং বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কয়েক ধাপে চাকরির কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অধ্যক্ষ সোলাইমান মহসিন।
অএ কলেজে অফিস সহায়ক পদে মোঃ শহিদুল ইসলাম আবেদন পএে বয়স কমিয়ে ছল ছাতুরি করে অএ কলেজে নিয়োগ প্রাপ্ত হন এবং তাহার সত্যিকারের বয়স ৫০ পেরিয়ে গেলেও কাগজ পএ জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৭ বছর দেখিয়ে চাকরি পাকাপোক্ত করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে গভানিং বডি সহ ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সোলাইমান মহসিন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পাকাপোক্ত প্রচেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তাই খোঁজ খবর নিয়ে জমিদাতা মোঃ আবুল হোসনে হাওলাদার এর ছেলে মোকাম গলাচিপা সহকারী জজ আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন যাহাতে আদালত সুস্পষ্ট তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সু বিচার পেতে পারেন বলে দাবি করেন। মামলা নং দেওয়ানী মোকদ্দমা ২১০/২০২৩
এবং মোঃ জলিল গণমাধ্যমের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ডা: দিপু মনি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জোর দাবি জানাচ্ছে। ও উক্ত কলেজে কোন স্বাধীনতা বিরোধী চক্র নিয়োগের ক্ষেত্রে জায়গা না পায় সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেছে আঃ জলিল হাওলাদার ।