মারুফ সরকার,স্টাফ রির্পোটার: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও জাতীয় পার্টির জি এম কাদেরপন্থী সিকদার আনিসুর রহমানের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান।
আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) মনোনয়ন বাছাই করে মো. মুনীর হোসাইন খান জানান, ১৫ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বাছাইয়ে সাতজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। বাকি আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
আরাফাত ও আনিসুর রহমান ছাড়া যাঁদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে, তাঁরা হলেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন, গণতন্ত্রী পার্টির মো. কামরুল ইসলাম (চেয়ারম্যান মনোনয়ন দিয়েছেন), গণতন্ত্রী পার্টি অশোক কুমার ধর (মহাসচিব মনোনয়ন দিয়েছেন), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকতার হোসেন ও তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান।
জাতীয় পার্টির কাদেরপন্থী প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হলেও বাতিল হয়েছে রওশন এরশাদপন্থী মো. মামুনূর রশিদের মনোনয়ন। এ ছাড়া আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলমের মনোনয়নপত্রও বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান।
আরও যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তাঁরা হলেন জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, মো. তারিকুল ইসলাম ভূঞা (স্বতন্ত্র), আবু আজম খান (স্বতন্ত্র), মুসাউর রহমান খান (স্বতন্ত্র), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. মজিবুর রহমান ও শেখ আসাদুজ্জামান জালাল।
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচন: রওশনপন্থী মামুনূর ও হিরো আলমসহ ৮ জনের মনোনয়ন বাতিলঢাকা-১৭ উপনির্বাচন: রওশনপন্থী মামুনূর ও হিরো আলমসহ ৮ জনের মনোনয়ন বাতিল
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, যাঁদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তাঁরা চাইলে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ২৫ জুন। পরদিন হবে প্রতীক বরাদ্দ। আগামী ১৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে এই উপনির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে ৷
গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। নিয়ম অনুযায়ী সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হয়। এই হিসাবে আসনটিতে ১২ আগস্টের মধ্যে উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সেই সময় ধরে পরবর্তী পাঁচ বছর মেয়াদ ধরলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্থাৎ আসনটিতে যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি পাঁচ মাসের মতো সময়ের জন্য সংসদ সদস্য হবেন।