আমার ধারণা আমি ২০০৪/ ২০০৫ সাল থেকে লেখালেখি করতাম। একদম কিশোর বয়সে।ছোট ছোট অর্থাৎ ৮ থেকে১০ লাইনের কবিতা লিখতাম।বিভিন্ন সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক পত্র-পত্রিকায় ছাপা হতো।আবার মাঝে মাঝে খাতায় লিখে ফটোকপি করে আমার সহপাঠীদের দিতাম এবং নিজে আনন্দ পাইতাম।আর বর্তমানে সকালে না পারলে বিকেলে লিখি,বিকালে না পারলে রাত্রে লিখি। প্রতিদিন কিছু আমাকে লিখতেই হবে। আমার মাথায় কোনো নির্দিষ্ট বিষয় না থাকলেও লেখার টেবিলে নিয়ম করে বসি। লেখার চেষ্টা করি, ধ্যান করি। এটা আমার কাছে নেশায় পরিণত হয়েছে । কি নিয়ে লিখব? এমন একটি বিষয় নিয়ে ভাববার চেষ্টা করি। মাথায় একটা গল্প সাজাতে চেষ্টা করি। গল্পটা না সাজানো পর্যন্ত লেখাটা শুরু করি না। লিখতে লিখতে সময়টা আমার কাছে অনেকটা ঠিক হয়ে গেছে। আমাকে সময় বের করতে হয় না। বরং যেকোনো কাজের ফাকে কি নিয়ে লিখব সে বিষয় নিয়ে একটু চিন্তা করি। তারপরও লেখার জন্য ঠিকই আমার সময় বের হয়ে যায়। কারণ এটা আমার রুটিন ওয়ার্ক। না লিখলে আমার ভালো লাগে না। লিখতে না পারলে ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়। এক ধরনের অস্বস্তি ও অশান্তি কাজ করে। এটা না করলে আমার সাধারণ কাজগুলো এলোমেলো হয়ে যায়। এজন্য আমাকে লিখতে হয়।আমি কবির নেওয়াজ রাজ মনে করি, তরুণ লেখকদের পত্রিকা দিয়ে লেখা শুরু করা উচিত। প্রথমে বই প্রকাশ না করে নিজের নামটাকে একটু পরিচিত করানোর একটা বিষয় থাকে। পত্রিকায় ভালো লিখলে প্রকাশকরাই লেখকের বই প্রকাশ করতে আগ্রহী হবে। এটা সময়ের বাস্তবতা। লেখার পাশাপাশি প্রচুর পড়লে ভাষাটা আয়ত্ত হবে নতুন লেখকদের। ভাষা যদি পরিশীলিত না হয় তাহলে ভালো লেখক হওয়া সম্ভব নয়। লেখক অন্য সবার চেয়ে ভিন্নতর ভাষাশৈলী দিয়েই হয় । আর যারা নিয়মিত লেখার চর্চা করে এসবই একজন ভালো লেখকের বৈশিষ্ট্য।যাই হোক কর্মব্যস্ততার শহর ঢাকা।আর এই ব্যস্ততম শহরে থেকেও সময় বের করে লেখালেখি করি, কারন আমি একদিন হারিয়ে যাব কিন্তু বেঁচে থাকাকালীন যে লেখাগুলো লিখেছি এই লেখাগুলো আজীবন মানুষ মনে রাখবে,মানুষের হৃদয় থাকবে এবং আমার নামটি তাদের মেমোরিতে সেভ হয়ে যাবে।
কলমেঃ কবির নেওয়াজ রাজ
এমএসএস”রাষ্ট্রবিজ্ঞান,সিসি”জার্নালিজম,এলএলবি।