হাস্য উজ্জ্বল বদনখানি দেখে হৃদয় জুড়িয়ে যায় কিন্তু উদর পরিপূর্ণ হয় নাগো মা- জননী।আপনি বাংলা মায়ের যোগ্য সন্তান,আমাদের শ্রদ্ধেয় দেশরত্ন,অসহায়ের সহায়ক,নিপীড়িত জনগণের দেবীদূর্গা,অসুর বধে মা কালী,উন্নয়নে ব্রাহ্মণ্য পন্ডিতদেরও হার মানায় আপনার দক্ষতা শক্তি।আপনার অনুগ্রহে যদিও চাকরী পেলাম কিন্তু এত বৈষম্য বর্ধক পরিবেশ আর মানতে পারি না।আমরা এমন হতভাগা জাতি যারা মানুষ গড়ার কারিগর তাদের সন্মানিত শিক্ষক বলি কিন্তু পদবীতে বেসরকারী শিক্ষক হিসাবে চিহ্নিত। বেতন বৈষম্য, বোর্নাস ও বিবিধ ঐন্দ্রজালিক দূরীকরণে তেমন কোন কার্যকারি ভূমিকা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।মাগো সন্মান দিয়েছেন কিন্তু চলার মত, বলার মত বেতন দিলেন না।যে ১২,৫০০টাকা বেতন পাই তাতে সংসার চালানো দূরে থাক বিয়ে করতেই ভয় পাচ্ছি।পরিবারের খরচ আর বউ এর বায়না, ছেলে-মেয়ে বাদ দিলাম এগুলো নিয়ে শঙ্কিত আছি।মেয়ে দেখতে গেলে যদি বলি হাইস্কুল শিক্ষক তখনই মুখের উপর বলে বেসরকারী চাকরী, বেতন কত,ভবিষ্যৎ কি?দশ বছরের আগে মারা গেলে আমাদের মেয়ের কি হবে, এটা যে কত বড় লজ্জা আর অপমানের একমাত্র যারা পরিস্থিতিতে পড়েছি তারাই বুঝবেন।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বঙ্গদেশে আজ আমরা অসহায়, কাঁন্নারও উপায় নেই।জননেত্রী, জননেন্দ্রিয়,দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার পিতা প্রাইমারীকে জাতীয়করণ করেছে,আপনি রেজিস্ট্রারকে সরকারি করেছেন কিন্তু মধ্যে আমরা যারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তারা অসহায়ত্বে পড়ে রইলাম।আমরা পারি না প্রতিবাদ করতে,আন্দোলন করতে কারণ আমরা সন্মানিত শিক্ষক। শুধু অনুরোধের সাথে দাবি করছি আমাদেরকে জাতীয়করণ করে দেন দেশমাতা।আবার জ্বালার উপর খাড়ার ঘাঁ, বেতন কম অন্যদিকে ১০% কর্তন।আমরা আওয়ামী লীগকে ভালবাসি,আপনাকে ভালবাসি,এই দেশকে ভালবাসি। তাইতো আপনার উপর শ্রদ্ধা থেকে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি আপনি বেসরকারি শিক্ষকদের অতিরিক্ত ৪% কর্তন রহিতকরণ এবং সকল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের কার্যকারী ভূমিকা, প্রশংসনীয় শুভদৃষ্টির বহিঃপ্রকাশ ঘটাবেন এই আশাবাদী আমরা সকল বেসরকারি শিক্ষকমহল।
শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় বলেছেন কোচিং দেখতে চান না।আমরাও কোচিং বাণিজ্যকে ঘৃণা করি কিন্তু পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা থাকলে পচাঁবাসি খাদ্য,মরা পশু,শুকরের মাংসও আকৃষ্ট করে মানুষকে।আমাদেরকে ভালভাবে বেঁচে থাকবার সুযোগ করে দেন আমরা ঘৃণিত, ছোঁয়াছে কোচিং বাণিজ্য করবো না কথা দিলাম।মাগো শিক্ষিত জাতি গড়তে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি তাদেরকে অবহেলিত করে সমাজ,দেশ,রাষ্ট্রের কিভাবে উন্নয়ন সম্ভব।সন্মানিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী যতই আইনের আওতায় আনেন না কেন,যদি পেটে আহার না জোটে,বিভৎস সাংসারিক ভয়াবহ দৃশ্য অবলোকন করতে হয়,বাচ্চার অপূরণীয় আবদারগুলো বারবার হৃদয়ে ক্ষত সৃষ্টি করলে শ্রেণিতে কিভাবে ভালকরে পাঠদান সম্ভব।এ ভাবে চলতে থাকলে আমাদের জাতি মেধা শূন্য হয়ে পড়বে,জ্ঞানের পরিপন্থী হয়ে যাবে,আমরা মেধাহীন জাতিতে পরিণত হবো।তাই আপনার কাছে আকুল দীর্ঘশ্বাসের সাথে আবেদন করছি দেশমাতা সকল বেসরকারি শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ও অতিরিক্ত ৪% কর্তন বন্ধে আপনার কার্যকরী পদক্ষেপ একান্ত জরুরী হয়ে দেখা দিয়েছে।
ধন্যবাদান্তে,
মোঃ আজিজুল হাকিম,
সহকারী শিক্ষক (বাংলা),
হানিফ খান দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়,
সুজাতপুর, বানিয়াচং,হবিগঞ্জ, সিলেট।
সভাপতি, আদর্শ ছাত্রবন্ধু ফাউন্ডেশন- দেবহাটা।