ভূমধ্যসাগরে তিউনিশিয়া উপকূলে শরণার্থী বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া ১৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। আজ (মঙ্গলবার) ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে-৭১২ বিমানযোগে দেশে পৌঁছান তারা।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত ৭০ জনের মধ্যে ২৭ বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের সবার পরিচয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
লিবিয়ার ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানায়, লিবিয়া হয়ে দুটি নৌকায় ইতালি যেতে চেয়েছিলেন অভিবাসী প্রত্যাশীরা। একটি নৌকায় প্রায় ৫০ এবং অন্যটিতে ৭০ জন যাত্রী ছিল। ওই দুটি নৌকা গত ৯ মে রাতে একই সময়ে যাত্রা শুরু করে। তবে একটি নৌকা নিরাপদে ইতালি পৌঁছালেও অন্যটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর এ এস এম আশরাফুল ইসলাম বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ বাংলাদেশিকে জীবিত এবং এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম উত্তম কুমার। তার বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়ায়।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন (আরএফএল) বিভাগে দায়িত্বরত পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার বলেন, তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টের আঞ্চলিক প্রধান মাঙ্গি স্লিমের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া চার বাংলাদেশির সঙ্গে কথা বলে নিহত ২৭ বাংলাদেশির পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। তবে মরদেহ না পাওয়ায় তাদের নাম এখনও নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকায় রাখা হয়েছে।
নিহত বাংলাদেশিরা হলেন- নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার জয়াগ গ্রামের নাসির, ঢাকার টঙ্গীর কামরান, সিলেটের জিল্লুর রহমান, কিশোরগঞ্জ জেলার জালাল উদ্দিন, সুনামগঞ্জের মাহবুব, মাদারীপুর জেলার সজিব, সিলেট বিয়ানীবাজারের রফিক ও রিপন, শরীয়তপুরের পারভেজ, কামরুন আহমেদ মারুফ, মৌলভীবাজার কুলাউড়ার শামিম, কিশোরগঞ্জ জেলার আল-আমিন, ফেঞ্চুগঞ্জ সিলেটের লিমন আহমেদ, আব্দুল আজিজ ও আহমেদ, সিলেট দক্ষিণ সুরমার জিল্লুর, বাইল্যাহার মৌলভীবাজারের ফাহা, সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জের আয়াত, হাউড়তোলা সিলেটের আমাজল, সিলেটের কাসিম আহমেদ, সিলেট বিশ্বনাথের খোকন, রুবেল, সিলেটের মনির, বিশ্বনাথ সিলেটের বেলাল, সুনামগঞ্জের মাহবুব, নাদিম, সিলেট গোলাপগঞ্জের মারুফ প্রমুখ।