সফররত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল আজ ৮ আগস্ট ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার নেতা (লিডার অভ দি আপার হাউস) পীযূষ গয়ালের সঙ্গে পার্লামেন্ট কার্যালয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও উন্নয়নমূলক বিষয়ে আলোচনা করেন বলে বৈঠক সূত্র জানায়।
বৈঠকে গয়াল এ অঞ্চলের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন ও আশা প্রকাশ করেন যে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মাধ্যমে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।
ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন বিজেপি’র রাজ্যসভার প্রভাবশালী এ নেতা বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের আমলে আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
খাদ্যশস্য রপ্তানির ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে গয়াল প্রতিনিধি দলকে বলেন, খাদ্যশস্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় ভারত সক্রিয়ভাবে তা বিবেচনা করবে।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে ভারত যাতে বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করতে পারে- সেজন্য তিনি প্রতিনিধি দলের সদস্যদের আরও পণ্যের নাম প্রস্তাব করার অনুরোধ জানান। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পচনশীল পণ্য রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও আলোচনা হয়।
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও বন্ধু হিসেবে ভারত সবসময় বাংলাদেশের সব বিষয়ে বিশেষভাবে বিবেচনা করে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বৈঠকে প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, এমপি। প্রতিনিধিদলের অপর সদস্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অরোমা দত্ত, এমপি ও অধ্যাপক মেরিনা জাহান এমপি উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) “বিজেপিকে জানুন” কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলটির আমন্ত্রণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লি সফর করছে। বৈঠক শেষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাসসকে বলেন, ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে’ অনুষ্ঠিত আলোচনায় ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইস্যু উঠে এসেছে।
বিকেলে দিল্লিতে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার সর্বোচ্চ ফোরাম জি-২০ এর ভারত সম্মেলনের আহবায়ক রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সাথে বৈঠক করেন তারা।
এর আগে, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ইন্ডিয়া গেট সার্কেলে জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করে। স্মৃতিসৌধটি স্বাধীন ভারতের সশস্ত্র সংঘাতে লড়াই করা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সৈন্যদের সম্মান ও স্মরণ করিয়ে দেয়।
Mohammed Hasan Mahmud