মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম,ঝিনাইদহ।।
আগের সেই রঙিন দুরন্ত শৈশব এখনকার সময়ে কদাচিৎ দেখা যায় শিশুদের মধ্যে। মাঠ-ঘাট-গাছ-নদী-পুকুরে দাপিয়ে বেড়ানো যেন আজকাল শিশুদের জন্য কেবলই স্বপ্ন। তবে গ্রামের শিশু-কিশোরদের এখনো দুরন্তপনায় মেতে থাকতে দেখা যায়, তবে তাও আগের মতো নয়।
আধুনিক প্রযুক্তির হওয়া শহর থেকে মফস্বলেও পৌঁছে গেছে। এখন মোড়ে মোড়ে শিশুদের দোকান কিংবা টংয়ে বসে মোবাইলে লুডু, ফ্রি-ফায়ার ইত্যাদি সব গেম খেলতে দেখা যায়। স্মার্ট টিভি, স্মার্ট ফোন কিংবা স্মার্ট কত শত ডিভাইসের আড়ালে শৈশবের সেই রঙিন দিনগুলো স্মৃতি হতে বসেছে। আজ শিশুর বিনোদনের খোরাক জোগায় স্মার্টফোনের স্কিন।
এটিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিডিও দেখে কিংবা গেম খেলে শিশুর রঙিন সময়গুলো হয়ে উঠছে বিবর্ণ। যেখানে একটি শিশুর সময় কাটার কথা, সবুজ দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে খেলাধুলায় মেতে থেকে কিংবা পুকুরে দাপিয়ে সাঁতার কেটে অথচ সে দৃশ্যগুলো যেন আজ কেবল স্মৃতি।
শিশুদের খেলার জন্য দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ মাঠের কথা বললাম, তা তো আমরা দিনদিন নিঃশেষ করে ফেলছি। তারা খেলবে কোথায়! খেলার মাঠ দূরে থাক, শিশুরা কোনায়, চিপায়-চাপায় যে জায়গাটুকুতে খেলত, তাও নির্দ্বিধায় দখল করে গড়ে তুলছি উঁচু উঁচু দালান। আজ স্মার্ট বাবা-মায়ের হাতে সময় হয় না শিশুর খেলার সঙ্গী হওয়ার। কান্না, রাগ কিংবা অভিমানে শিশুর হাতে নিজের মোবাইল ফোনটি তুলে দিয়ে চিন্তামুক্ত হতে চান তারা। কিন্তু এই ডিভাইসটি যে আমাদের ভবিষ্যৎ ফ্যাকাশে করে দিচ্ছে, সেটি কি আমরা চিন্তা করি?
এই বিষয় গুলোর মাধ্যমে আমাদের দেশ টা আজকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।