মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ।
যে বয়সে শিশুর স্কুলে গিয়ে হাসি-আনন্দে লেখাপড়া করার কথা সে বয়সে শিশুকে পরিবারের হাল ধরতে হচ্ছে। এভাবে শিশুশ্রম শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে ওঠাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আমাদের দেশে শিশুশ্রম যেন কমছেই না। শিশুদের সব ধরনের ভারী ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হরহামেশায় দেখা যায়।
শিশুশ্রম বন্ধে কঠোর আইন থাকলেও তা কেউ মানছে না। শিশুশ্রমের পেছনে অভিভাবকদেরও দায় আছে বলে আমার মনে হয়। অনেক অভিভাবক সন্তানদের পড়াশোনার খরচ যোগাতে ব্যর্থ হোন।
আবার অনেক অভিভাবক মনে করেন সন্তানদের বেশি পড়াশোনা করিয়ে লাভ নেই। পড়াশোনায় সময় না দিয়ে অন্য কোনো কাজ করলে পরিবারের উপার্জন বাড়বে। অভিভাবকদের এ ধরনের মনোভাবের কারণে অনেক শিশুর পড়াশোনার স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যায়। অথচ এই শিশুরা পর্যাপ্ত পড়াশোনার সুযোগ পেলে বড় হয়ে পরিবারের হাল ধরতে পারত।
তাই আমি মনে করি শিশুশ্রম বন্ধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি অভিভাবকদের সদিচ্ছারও প্রয়োজন রয়েছে।