হাফিজুর রহমান শিমুলঃ নারীর হাতে কৃষির গোড়াপত্তন, অনেক আগের কথা।আদিযুগের কৃষি ছিল প্রকৃতির ওপর নির্ভর। তখনকার মানুষেরা জীবিকার জন্য বনজঙ্গলে ঘুরে বেড়াতেন। পশু শিকার এবং ফলমূল সংগ্রহ করাই ছিল তাদের প্রধান কাজ। এগুলো করতেন পুরুষরা আর নারীরা সন্তান লালন-পালনের পাশাপাশি ফলের বীজ মাটিতে পুঁতে রাখতেন। বীজ হতে গজানো চারা বড় হয়ে যখন ফলধারণ করত তখন তারা এ কাজে হতেন আরো উৎসাহিত। সে থেকেই কৃষিকাজে নারীর পথ চলা। এমনিভাবে অবিরাম চলছে বংশ পরম্পরায়। পুরুষশাসিত সমাজে স্বীকৃতি না পেলেও কৃষিতে তাদের অবদান ঢের বেশি। বিশেষ করে সবজি চাষে। তেমনি কয়েকটি পরিবারের চিত্র ফুটে উঠেছে কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের উত্তর রঘুনাথপুর গ্রামে। সরেজমিনে দেখাগেছে, প্রতিবন্ধী স্বামী রাশিদুল ইসলাম এর স্ত্রী ও তিন সন্তান মিলে ৫ সদস্যসের সংসার। সবকিছু অতি যত্ন সহকারে দেখভাল করে থাকেন স্ত্রী শেফালী বেগম। তিনবিঘা জমিতে মাৎস্য ও ধান চাষের পাশাপাশি তরমুজ, শাম্মাম, মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়স, বরবটি ও লাউ চাষ করেছে ঘেরের ভেঁড়িতে। ফসলও উঠছে প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার আর সোমবারে। নিজেদের সংসার নির্বাহের পাশাপাশি ফসল বিক্রি করে তাদের সংসার ভালোই চলছে। একই ভাবে একই বিলে সালাউদ্দিন গাজীর স্ত্রী মোহছিনা খাতুন তিনবিঘা জমিতে মৎস্য ও ধান চাষের পাশাপাশি বুলেট ঝাল, বেগুন, মেনেকা, লাউ ও কুমড়া চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন। সে মিশন মহিলা উন্নয়ন সংস্থার অর্থায়নে ও উদ্বুদ্ধ হয়ে সফল চাষী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। অত্র ইউনিয়নের কৃষি উপ সহকারী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ জানান, মৎস্য ঘেরের আইলে পরিকল্পিত ফসল চাষে ফরন ভালো হচ্ছে। মৎস্য চাষীরা বর্তমানে সবজি ও তরমুজ চাষে ঝুঁকছে বেশি।