হাফিজুর রহমান শিমুলঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে এখন স্বাবলম্বি হতদরিদ্র নারীরা। তিন বছরে প্রত্যেকেই হয়েছেন নিজ নিজ যায়গা থেকে স্বাবলম্বী। জীর্ন কুঁড়ে ঘরের জায়গায় স্থান করে নিয়েছে পাকাবাড়ি। কুমড়া চাষের এমন সাফল্য দেখে উচ্ছ্বসিত অন্য এলাকার কৃষকরা। অনুপ্রেরণা দিয়ে আগামীর স্বপ্ন দেখাচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বেনাদোনা গ্রামের দরিদ্র কৃষক মারূফা খাতুন, কুলসুম বেগম ও মুসলিমা খাতুন এ’বছর উভয়েই এক বিঘা করে জমিতে ১৮০টি গর্ত খুড়ে মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোপন করেন। কুমড়া চাষে তাদের ব্যয় হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। আর মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে লাভ হবে প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকা। মারূফা, মুসলিমা ও কুলসুমদের মতো অনেকেই মিষ্টি কুমড়া চাষ করে এখন স্বাবলম্বি। তিন বছর আগে বেনাদোনা গ্রামের ১২ জন হতদরিদ্র নারী কৃষি বিভাগ ও ক্রিশ্চিয়ান এইড এর অর্থায়নে, নওয়াবেঁকী গণমূখী ফাউন্ডেশন এর কারিগরি সহযোগিতায়
মিশন মহিলা উন্নয়ন সংস্থার বাস্তবায়নে নারী নেতৃত্বাধীন সিএসও দের অংশগ্রহণমুলক জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন প্রকল্প, ফেজ-২ আওতায় মিষ্টি কুমড়ার আবাদ শুরু করেন। শুরু থেকেই আসতে থাকে তাদের সাফল্য।
এসকল কৃষকদের দাবী সরকারীভাবে যথাযথ প্রশিক্ষন ও আর্থিক সহযোগিতা পেলে আগামীতে আরও উদ্যমে তারা ফসল উৎপাদন করতে পারবে।