হাফিজুর রহমান শিমুলঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় পাট থেকে সোনালি আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের ঘরে উঠতে শুরু করেছে সোনালি আঁশ। নদী- নালা ও খাল বিল থেকে জাগ দেওয়া পাট তুলে এনে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানো ও রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত সবাই। কালিগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার পাট চাষির সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। অন্য বছরের তুলনায় এবছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে বলে জানান চাষিরা। চাষিরা পাট কেটে তা নদী, নালা, খাল, বিল ও ডোবায় জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং হাটে বাজারে তা বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কোথাও- কোথাও দেখা গেছে নারী- পুরুষের অংশগ্রহণে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার বিষ্ণুপুর, কৃষ্ণনগর, মৌতলা, ভাড়াশিমলা, নলতা ও ভাড়াশিমলা এলাকায় পাট চাষ ভালো ফলন হয়েছে।উপজেলার মুকুন্দর গ্রামের পাট চাষি আনছার আলী মোড়ল, আব্দুল জলিল গাইন, নুর হোসেন গাজী, পারুলগাছা গ্রামের আব্দুল হান্নান মোড়ল, জি এম জাহিদুর রহমান, চাঁচাই গ্রামের মৃতঃ এন্তাজ আলী এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন এখন পাট কাটা, পানিতে ডোবানো ও ধোয়ার কাজে আমরা ব্যস্ত সময় পার করছি। এ বছর পাটের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। উপজেলার ভাড়াশিমলার গ্রামের পাট চাষি জাকির হোসেন পাড় বলেন, এ বছর আমি ২১ শতক জমিতে পাট চাষ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ৪ হাজার টাকা। পাটের ফলনও ভালো হওয়ায় খুশি আমরা। আশা করছি ভালো দামও পাবো। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়াসিম উদ্দীন বলেন, অন্যান্য বছের চেয়ে পাটের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে পাটের দামও ভালো। আশা করছি চাষিরা তাদের পাটের ন্যায্য মূল্য পাবে।