হাফিজুর রহমান শিমুলঃ স্বপ্ন এখন দু:স্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে শিশু শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার সাথী (১৩) জীবনে ইচ্ছে ছিল লেখা পড়া শিখে শিক্ষক হওয়ার। কিন্তু হঠাৎ এক দুর্ঘটনা তার সেই ইচ্ছের ডানা গুলো দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে। চিকিৎসার অভাবে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সাথীর জীবন এখন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের সফিকুল ইসলামের একমাত্র কন্যা সে ফতেপুর সরকারি প্রাইমারী স্কুলের মেধাবী ছাত্রী সাথী। গত দুই বছর আগে একদিন স্কুল থেকে ফেরার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে সাথী তীব্র মাথা ব্যথা ও জ্বর এ ফেটে শরীর পুড়ে যাওয়ার মত অবস্থা এই সময়ে স্থানীয় বাজার থেকে জ্বরের ওষুধ সেবন করানো হয় এতে ও সাথীর জ্বর ভালো হয়ে গেলেও শরীর ক্রমশ খারাপের দিকে যেতে থাকে তারপরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা করানো হয় দীর্ঘ দিন চিকিৎসার পর এখনো সুস্থ হয়ে ওঠে নি সে তখন ডাক্তার বলেন উন্নত চিকিৎসার জন্য সাথীকে বিদেশে নিয়ে যেতে হবে । চিকিৎসার খরচ যোগাতে বাবা-মা নি:সহ হয়ে পড়েছেন। টাকার অভাবে সাথীর চিকিৎসা বন্ধ হয়ে পড়েছে সাথী এখন বিছানশয্যায় তার বাবা সফিকুল ইসলাম একজন ভ্যান চালক । সারা দিন ভ্যান চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসারে খরচও জোটে না। তার উপরোন্ত সাথীর চিকিৎসা চালাবেন কি ভাবে এই চিন্তায় সফিকুল ভেঙ্গে পড়েছেন।মেয়ের চিকিৎসা করাতে দরকার লাখ লাখ টাকা। এত টাকা পাবেন কোথায় সফিকুল। চোখের সামনেই মেয়ের মৃত্যু দেখবেন তা মনে করে বার বার মুর্চ্ছা যাচ্ছেন তিনি। পরিবারে এখন কান্নার রোল পড়েছে। এদিকে সাথী ও দিন দিন প্রাণ শক্তি হারাচ্ছে।মেয়েকে সুস্থ করে তুলতে এই অসহায় পরিবারটি প্রধানমন্ত্রীর ও সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: সফিকুল ইসলাম (বিকাশ একাউন্ট নম্বর : (০১৭৮৮৩৮১৬৭৬) জনতা ব্যাংক বাঁশতলা বাজার শাখা সঞ্চয়ী হিসাব নাম্বার ০১০০১৩১৮২১৮২৯ কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা।