নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি:- মাহদি হাসান।।
শরৎতের দিনে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন ধানের শীষ। মনোরম দৃশ্যটি দেখে আনন্দিত কৃষকরা।
অনাবৃষ্টি, নানা রোগবালাইয়ের পরও এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
মাঠে মাঠে আনন্দে মাতুয়ারা সোনালী ধানের শীষ। প্রতিটি শীষে যেন কৃষকের জীবনের স্বপ্ন ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে নকলা উপজেলার কৃষকেরা।
দিগন্তজুড়া সোনালী ফসলের মনোরম দৃশ্য এখন গোটা উপজেলা জুড়ে। কোনো এলাকায় ধান না কাটলেও আগামী এক সপ্তাহ পরে বি ধান ৭৫ পাকা শুরু হওয়ার পর কাটা হবে বলে জানায় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহরিয়ার মোরসালিন মেহদি।
ফসল কাটার মহোৎসবে ব্যস্ততম সময় কাটাবেন এখানকার কৃষকরা। প্রচন্ড তাপদাহে খুব সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে সোনালী স্বপ্ন ঘরে তোলা সংগ্রাম।
এরপর সেই জমিতে মৌসুমি শীতের ফসল চাষ করবে কৃষকরা।
এব্যাপারে স্থানীয় কৃষকরা জানান, এবছর আমন ধান চাষ করতে কষ্ট হয়েছে। শুরুর দিকে বৃষ্টির অভাবে সেচ দিয়ে ধান লাগানো হয়েছে।
আবার লাগানোর পরেই ক্ষেতে ক্ষেতে বেশ কয়েকদিন মটর/ শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিতে হয়েছে। এবছর ধানের দামটা ন্যায্য করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান স্থানীয় কৃষকরা।
কৃষক ফারুক মিয়া জানায়, ধান শীষ হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে ধান ভালোই দেখা যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যেন ধান ভালোই হয়।
আল্লাহ যেন কোনো রোগবালাই, দূর্যোগ না দেয়। ধানের দাম ও শ্রমিকের দাম ন্যায্য থাকলে আমাদের জন্য ভালো হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহরিয়ার মোরসালিন মেহদি বলেন , এবার উপজেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ১৩ হাজার ৭২ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে । প্রযুক্তির ছোঁয়ায় অল্প সময়ে কৃষকরা জমিতে চাষাবাদ করছেন। এ বছর আবহওয়া আনুকুলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন ও ন্যায্য মূল্য পেলে এ এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে আমূল পরিবর্তন ঘটবে।