মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি :
নওগাঁর মান্দায় জনবল নিয়োগের আগেই বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে চকউলী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ও গভর্নিং বডির সভাপতি ইদ্রিস আলী সরদারের বিরুদ্ধে। এছাড়া তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রিসহ, পুকুর ও জমি লিজের টাকাও আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
এসব অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্তসহ বিচার ও তাঁদের অপসারণ দাবিতে আজ শনিবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সিয়াটা গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফজলুর রহমান, সিপিবি মান্দা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান, স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান, বাবু ইসলাম, মাহাতাব আলী, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, সাইফুল ইসলাম, রুস্তম আলী, ইয়াসিন আলী, আতাউর রহমান প্রমুখ।
চকউলি গ্রামের বাসিন্দা রুস্তম আলী অভিযোগ করে বলেন, চকউলী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে সহকারী প্রধান শিক্ষক, ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিয়োগের আগেই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ও সভাপতি ইদ্রিস আলী সরদার চার প্রার্থীর কাছ থেকে ৫৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এসব টাকা প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে জমা না দিয়ে তাঁরা আত্মসাত করেন।
একই গ্রামের বাসিন্দা ইয়াছিন আলী বলেন, নিয়োগের আগেই বাণিজ্যের বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে দেন। পরে তিনি এ বিষয়ে তদন্ত করলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
প্রতিবাদ সমাবেশে সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফজলুর রহমান দাবি করেন, করোনার সময়ে প্রতিষ্ঠানের মেহগনিসহ বেশকিছু মুল্যবান গাছ বিক্রি করে অধ্যক্ষ ও সভাপতি অন্তত চার লাখ টাকা আত্মসাত করেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের পুকুর ও জমি লিজ দিয়ে সেই টাকা আত্মসাত করেন। প্রতিষ্ঠানের জমি থেকে মাটি বিক্রি করে সেই টাকাও আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে চকউলি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ইদ্রিস আলীর মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।#